সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:– ওঁরা বংশ পরম্পরায় নদী গর্ভ থেকে বালি তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বর্তমানে ওই কাজে সরকারীভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মামলা দেওয়া থেকে ট্যাম্পু ভেঙ্গে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে । এমনই অভিযোগে ও বালি তোলার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন বালি তুলে সংসার চালানো মানুষজন। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় সি.আই.টি.ইউ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া শহরের দুদিক দিয়ে বয়ে গেছে দুটি নদী, গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর। আর এই দুই নদী থেকে বালি তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এই দুই নদী সংলগ্ন একাধিক গ্রাম শহরেরে বহু মানুষ। কিন্তু সরকারি ভাবে এই বালি তোলা নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। জীবিকা হারিয়ে এখন অসহায় অবস্থা এই সব মানুষজনের। আর তাদের জীবন জীবিকা ফিরিয়ে দিতে সোমবার কয়েকশো কাজ হাজ হারানো মানুষকে নিয়ে স্থানীয় সি.আই.টি.ইউ নেতৃত্ব বাঁকুড়ার মহকুমা শাসকের কাছে একটি স্মারক লিপি জমা দেন ও নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান।
বিষয়টি নিয়ে সি.আই.টি.ইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জী বলেন,শহরে একশো দিনের কাজ নেই, গ্রামেও ওই কাজ বন্ধ। মানুষের রুটি রুজির সংস্থান করতে হীমশিম অবস্থা। এদিকে হাজারোরও বেশী মানুষ বংশপরম্পরায় নদী থেকে বালি তুলে তা বিক্রি করেন। কিন্তু প্রশাসনের সৌজন্যে তা বন্ধ। বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন গোরুর গাড়ি, ভ্যানে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে। প্রয়োজনে কর দিয়েও বাঁকুড়ার নদী গুলি থেকে সাধারণ গরীব মানুষকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হোক বলে তিনি দাবি করেন। প্রসঙ্গত গরুর গাড়ি, ছোট গাড়ি বা ট্যাম্পু গাড়িতে বালি তুলে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন এই সব দিন আনি দিন খাই মানুষজন। অবিলম্বে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে অবস্থান বিক্ষোভেরও হুমকিদিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।