নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কারস ইউনিয়নের বাৎসরিক সভা নিয়ে সামনে চলে এল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির গোষ্ঠী কোন্দল। বাৎসরিক সভা ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাদ বিবাদ স্লোগানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীতে এএসপি ঠিকা মজুর কংগ্রেসের বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ রবিবার ফের দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর হোস্টেল অ্যাভিনিউতে আইএনটিইউসির অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কারস ইউনিয়নের বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাকে ঘিরেই শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
এএসপি ঠিকা মজুর কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভিযোগ অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে সভা করেছে অ্যালয় স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। যার পৌরহিত্য করেন আইএনটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ ঘটক। যিনি আবার গত জুলাই মাসে মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর আইএনটিইউসির রাজ্য নেতৃত্ব নতুন করে জেলা কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। আর তাতে বিকাশ ঘটককে আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারপরও অ্যালয় স্টিল কারখানার বাৎসরিক সভা বিকাশ ঘটকের পৌরহিতা আয়োজিত হওয়াকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। সভা চলাকালীনই দলীয় পতাকা নিয়ে এই সভা অবৈধ সভা বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন এএসপি ঠিকা মজদুর কংগ্রেসের সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে স্লোগান দেওয়া। যার জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সভাস্থলে। শেষে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সভাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আইএনটিইউসির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সুভাষ সাহা জানান পুরো বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। ওনারাই যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার করবেন।
অন্যদিকে বিকাশ ঘটকের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা দীপ্ত দের দাবি, বিকাশ অ্যালয় স্টিল কারখানাকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আইএনটিইউসির কোন কমিটিতে তার নাম নেই। আজকের বাৎসরিক সম্মেলনে কোন রাজ্য বা জেলা নেতা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে তিনি কিভাবে বাৎসরিক সম্মেলন করতে পারেন? যদিও বিকাশ ঘটক বলেন, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেও আইএনটিইউসি-তে ছিলাম আছি থাকবো।
সব মিলিয়ে এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে এখন কি পদক্ষেপ নেয় দলের উচ্চ নেতৃত্ব এখন সেটাই দেখার।