সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- দুদিন বাদেই বিয়ে, চলছে তার তোরজোর। কিন্তু পাত্রের গ্রেফতারিতে ভেস্তে গেল বিয়ে। শ্রীঘরে ঠাঁই হল পাত্রের। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার ভূয়েরা গ্রামের। ধৃতের নাম ভৈরব দাস ওরফে মানিক। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আউশগ্রাম থানার পুলিস। বুধবার তাকে বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হলে দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধৃতের বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আউশগ্রাম থানার ভূয়েরা গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা ভৈরব দাস পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ধৃত প্রতিবেশী নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। জানা গেছে ওই নাবালিকাকে নিয়ে তার মা একাই থাকেন। নাবালিকার বাবা কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। কিছুদিন আগে বাড়িতে ইলেকট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে নাবালিকার মা পাড়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ভৈরবকে খবর দেন। অভিযোগ ইলেকট্রিকের কাজ করার সময় আচমকা অভিযুক্ত ঘরে ঢুকে নাবালিকার মাকে ধর্ষণ করে। এমনকি নিজের মোবাইলে সেই আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর রাতে নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে তার মাকে কুপ্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। মহিলা তাতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত ভৈরব দাস নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। তবে নাবালিকার মা চিৎকার শুরু করলে সে পালিয়ে যায়। এরপর নাবালিকার মা আউশগ্রাম থানার দ্বারস্থ হন ও ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ভৈরব দাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।