সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- বিদ্বেষ ছাড়ো সংবিধান বাঁচাও।চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা বাঁচাতে এবং আসানসোল জামতোড়া শিল্পাঞ্চলকে বাঁচাতে বৃহস্পতিবার সিএল ডাবলু সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সমাজসেবীকা তথা জননেত্রী মেধা পাটেকর উপস্থিত হয়েছিলেন বারাবনি বিধানসভার রূপনারায়ানপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি জনসভায়। সভা শেষে রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় থেকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা পর্যন্ত একটি বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। পদযাত্রার সামনের সারিতেই ছিলেন মেধা। কিন্তু পদযাত্রা চিত্তরঞ্জন শহরে ঢোকার তিন নম্বর গেটের কাছে পৌঁছতেই আটকে দেয় আরপিএফ। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, ব্যারিকেড দিয়ে থামানো হয় মিছিল। রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছেলে অংশ নেওয়া ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন কিন্তু বিশাল আরপিএফ বাহিনী তাদের রুখে দয়ে। এরপর রাস্তাতেই বসে পড়েন মেধা পাটেকর ও তার সহকর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অবশেষে কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেইমতো মেধা পাটেকর সহ সংগঠনের পাঁচজন জিএম-এর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবির কথা জানান ও তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। প্রসঙ্গত এদিনের কর্মসূচির পরিপেক্ষিতে রেলকারখানা ও আরপিএফ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকটি গণসংগঠন মিলে চিত্তরঞ্জন কারখানাকে বিলগ্নিকরণ থেকে বাঁচানোর জন্য এই আন্দোলন কর্মসূচির আয়োজন করে। এদিন মেধা পাটেকার বলেন, যেভাবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে শুরু করে তাদের স্কুল তাদের হাসপাতাল এবং অন্যান্য সমস্ত কিছুই বেসরকারিকরণ করতে চাইছে কেন্দ্র তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। আমরা কোনভাবেই কারখানাকে বেসরকারি করণ করতে দেবো না। তিনি জানান রেল কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্র সরকার ভয় পেয়েছে তাই তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র ও রেল যতোই চেষ্টা করুক রেল কারখানাকে বেসরকারি করণ করতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র সরকার গরীব,কৃষক শ্রমিকদের শোষণ করছে। একদিকে ব্যাংকে ঋনের জন্য কৃষক আত্মহত্যা করছে আর অন্যদিকে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে বড় ব্যবসায়ীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন বড়বড় কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত কারখানা আদানিদের কাছে বিক্রি করে হচ্ছে আর সেটা সমগ্র বিশ্বের মানুষ দেখছে।