নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সম্প্রতি দুর্গাপুর এনআইটি’র পদার্থবিদ্যা বিভাগের অপটিক্যাল সেন্সর ল্যাবরেটরিতে পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ অনিরুদ্ধ মণ্ডলের অধীনে গবেষণারত অভিজিৎ দালাল একটি প্রোটোটাইপ আর্সেনিক সেন্সর তৈরি করেছেন যা জলে আর্সেনিকের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা (0.02 mg/dl – 2mg/dl) শনাক্ত করতে পারে। বর্তমানে তাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন যন্ত্রটিকে আরও সহজে বানিজ্যিকভাবে এবং সস্তায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য। তাঁদের প্রচেস্টা সফল হলে এনআইটির মুকুটে জুড়ে যাবে আরও একটা সফলতার পালক। বর্তমানে এই উদ্ভাবনের বিষয়টি একটি স্বনামধন্য জার্নালে (IEEE Sensors Journal) পাঠানো হয়েছে প্রকাশনার জন্য।
প্রসঙ্গত ভারতের গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এসপিএআরসি (Scheme for Promotion of Academic and Research Collaboration) নামক একটি রিসার্চ প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ভারতের শেরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে গবেষনার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এনআইটি দুর্গাপুর তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো সারা বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে গবেষণার ইকো-সিস্টেম উন্নত করা এবং জনসাধারণের স্বার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ভাবন করা। এনআইটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ অনিরুদ্ধ মণ্ডল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক ডঃ রবীন্দ্রনাথ বর্মন এই প্রকল্পের প্রধান এবং সহ-প্রধান গবেষক বিবেচিত হন। এবং বিদেশী সহযোগী হিসেবে এই প্রকল্পে রয়েছেন রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সাইন্সের প্রফেসর অ্যালেক্সি তামিভ এবং কানাডার ক্যুইনস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জ্যঁ মাইকেল নুনজি।
গত শুক্রবার রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সাইন্সের প্রফেসর অ্যালেক্সি তামিভকে নিয়ে এনআইটি দুর্গাপুরে একটি সেমিনারেরও আয়োজন করেছিলেন প্রকল্পের দুই গবেষক ডঃ অনিরুদ্ধ মণ্ডল এবং ডঃ রবীন্দ্রনাথ বর্মন। যেখানে মানুষের শরীরে আর্সেনিকের ক্ষতিকর প্রভাবের উপর আলোকপাত করা হয় এবং অত্যন্ত কম খরচে কীভাবে ছোটো যন্ত্র তৈরি করে জলে আর্সেনিক শনাক্ত করা যায় তার কারিগরি আলোচনা করা হয়। ছাত্র-গবেষক মিলিয়ে সেমিনারে পঞ্চাশেরও বেশীজন অংশ নিয়েছিল। যার নিরিখে সেমিনারের সফলতা সহজেই অনুমান করা যায়।