সংবাদদাতা, বর্ধমান ও দুর্গাপুরঃ- কল সেন্টার থেকে দেহ ব্যবসার নয়া কৌশল ‘সেক্সটরশনে’র এবার শিকার হয়েছেন বর্ধমান শহরের রাধানগর পাড়ার এক যুবক।
কলকাতার পর দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার এলাকায় এইসব কলগার্লেরা পিঙ্ক ট্র্যাপের ফাঁসে জড়িয়ে ইতিমধ্যেই সর্বস্বান্ত করেছে প্রায় দু-ডজন মানুষকে। কয়েকটি ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। এরই মাঝে নতুন করে সেক্সটরশনের অভিযোগ দায়ের হল বর্ধমানে।
অভিযোগে এক যুবক জানান, তার সঙ্গে ভিডিও কলে এক মহিলার কথা হয়। তারপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। তাকে কিছু খোলামেলা ছবি পাঠানো হয়। সেইসব ছবি ও ভিডিও নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। তা বন্ধ করতে হলে তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। তিনি টাকাও দেন। কিন্তু, এখনও হুমকি বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে এখন তার কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হওয়ার কথা বুঝতে পেরে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, অভিযোগ পেয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাইবার থানারও সাহায্য নেওয়া হবে।
পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই যুবক জানিয়েছেন, গত ২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তার মোবাইলে একটি নম্বর থেকে একটি ভিডিওকল আসে। তিনি কলটি রিসিভ করেন। অপরিচিত এক মহিলা তাঁকে কিছু ছবি দেখায়। এরপর তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়। ফোন কেটে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে বেশকিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়। সেগুলি নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। নেটে ছড়ানো আটকাতে হলে তাকে টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়। মানসম্মান বজায় রাখতে ওই যুবক কয়েক দফায় ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছেন। তারপরও তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ভিডিও কলের রেকর্ডিংএ বিশেষ অ্যাপের সাহায্যে ছবি জুড়ে আপত্তিকর ফুটেজ বানানো হচ্ছে মানুষের দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে।