নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর রম্যবীণার ৪৫ তম বর্ষপূর্তি উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হল ২০ ডিসেম্বর,২০২২ ইস্পাত নগরীর দেশবন্ধু ভবনে। শুরুতে “বাজে বাজে রম্যবীণা” গানটি সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত হয়। এরপর গত অক্টোবর মাসে সংস্থা পরিচালিত ৪৪ তম মনীশ স্মৃতি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৯৫ জন সফলকাম প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়,শিক্ষাব্রতী দীপক চট্টোপাধ্যায় এবং সংগীতপ্রেমী বিশিষ্ট সমাজসেবী পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। অনুষ্ঠানের মুখ্য আকর্ষণ ছিল রবীন্দ্রনাথের গান কবিতা ও নৃত্যের সমন্বয়ে সুপরিকল্পিত গীতি আলেখ্য “ধ্বনিল বীণার ধ্বনি”। সঙ্গীতে অংশগ্রহন করেন- ঋতুকণা ভৌমিক, অর্ণশ্রী চক্রবর্তী, কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাণী চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্তা দাস জানা, শুক্লা মন্ডল, মানসী মুখোপাধ্যায়, মহুয়া সরকার, অনিন্দিতা সেনগুপ্ত, সুস্মিতা সাহা, উত্তম লাহা, সুপ্রিয় সরকার ও অনিরুদ্ধ লাহিড়ী। নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে সুস্মিতা ঘোষ,মন্দাকিনী চৌধুরী, শর্মিলা পোদ্দার বাউরি, অর্পিতা রায়, পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়, জিনিয়া ঘোষ প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ। আলেখ্য রচনায় বিপ্লব মুখোপাধ্যায় এবং পাঠ্যাংশে অংশ নেন যথাক্রমে নন্দিনী বন্দোপাধ্যায় ও কাঞ্চন মিত্র। যন্ত্র সঙ্গীত সহযোগিতায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন সমীর রায়, বোধিচিত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুতনু সরকার, বুদ্ধদেব দাস এবং প্রদীপ প্রামানিক। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সংস্থার অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত। পরিশেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব মুখোপাধ্যায়।