নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মৃতদেহ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ি চত্বরে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে থানায় মৃতদেহ নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ মৃতের পরিজনদের। চলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। পরে দুজনকে আটক করে মৃতদেহ থানা থেকে বার করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাতের শুক্রবার। ওই দিন ভিড়িঙ্গি মোড়ের কাছে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন লক্ষণ বাগদি নামে বছর ৪০ এর এক ব্যাক্তি। সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রাজবাঁধের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান একদিন চিকিৎসা চলার পর তাকে দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরী সংলগ্ন শোভাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায় জখম ওই ব্যক্তির। এরপরই ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয় মৃতের পরিজন। তাঁদের দাবি ঘাতক গাড়ি ও তার চালককে ধরতে পারেনি পুলিশ। তাই দুর্ঘটনার জেরে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে -এই দাবি জানিয়ে মৃতদেহ নিয়ে এদিন সটাং ফরিদপুর ফাঁড়িতে ঢুকে পড়ে মৃতের পরিজনেরা। চলে তুমুল বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। অন্যদিকে পুলিশ মৃতদেহ ফাঁড়ি থেকে বার করতে গেলে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। অবশেষে দুজনকে আটক করে মৃতদেহ ফাঁড়ি থেকে বার করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আগামী দিনে ক্ষতিপূরণ না পেলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেয় মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। গোটা ঘটনায় ব্যপাক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ফাঁড়ি চত্বরে।