সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ- একদিকে যখন দিদির দূতকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে চড় খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে অন্যদিকে তখন মানুষের অভাব অভিযোগের ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে বাধা দিচ্ছেন খোদ দিদির দূত তৃণমূল নেতা। চড়কাণ্ডের পর এবার এমনই ঘটনা উঠে এসেছে আসানসোলে। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার বিরুদ্ধে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা।
প্রসঙ্গত এদিন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত রানীগঞ্জের আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতের বাঁশড়া এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা বিবেক গুপ্তা। রীতিমতো ঢাক ঢোল বাজিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে গ্রামে ঘুরছিলেন তিনি। সেখানে গ্রামের বাসিন্দারা অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন নেতার সামনে। কেউ কেউ ক্ষোভও জানায়। অনেকে আবার অভিযোগ করেন নেতাদের কোন কাজ বললে তাঁরা নাকি শোনেন না। অভিযোগ গ্রামের সাধারণ মানুষ যখন এই সব অভাব অভিযোগের কথা বলছেন তখন সেখানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবি তুলতে ও ভডিও করতে বাধা দেয় বিবেক গুপ্তার অনুমাগীরা। এমনকি বিবেকবাবু নিজেও সাংবাদ প্রতিনিধিদের কাছে ভিডিও না করার আবেদন করেন।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,লোকবল দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ যেন কেউ ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি তুলতে না পারে। এইভাবে সাধারণ মানুষকে চুপ করানো যায় না। সাধারণ মানুষ সামনে পঞ্চায়েত ভোটে এর জবাব দেবে।
প্রসঙ্গত গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই আমরাসোঁতা পঞ্চায়েত সিপিআইএমের দখলে ছিল। পরে পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বর্তমানে এই পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।