eaibanglai
Homeএই বাংলায়যোশীমঠের মতোই আশঙ্কায় আসানসোলের ধস প্রবণ এলাকার মানুষ, জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ

যোশীমঠের মতোই আশঙ্কায় আসানসোলের ধস প্রবণ এলাকার মানুষ, জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ

সন্তোষ কুমার মণ্ডলঃ– মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই খনি অঞ্চলে ব্লাস্টিংয়ের প্রতিবাদে ও একাধিক দাবিতে সরব হলেন আসানসোলের ধস প্রবন কয়লাখনি অঞ্চলের মানুষজন। একই দিনে তিন জায়গায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। চলল খনি আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন।

বুধবার আসানসোলের ভানোড়া খোলামুখ খনি, রানিগঞ্জের হরিশপুর ও হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নরসুমদা কোলিয়ারির ছোটদিঘারি গ্রাম, তিন জায়গাতেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইসিএল ও ডিজিএমএস বা ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইনস্ সেফটির অফিসারদের। এদিন ভানোড়া খোলামুখ খনি সংলগ্ন এলাকা, হরিশপুর ও নরসুমদা কোলিয়ারির ছোটদিঘারি গ্রামের গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ফাটল মন্দিরে । রাস্তায় যত্রতত্র ফাটল। পুকুরের জল মাটির তলায় চলে গেছে বা জল কালো হয়ে পানের অযোগ্য হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর অর্থাৎ ঠিক দেড় মাস আগে বার্ণপুরের নরসুমদা কোলিয়ারি এলাকার ছোটদিঘারি গ্রামের বাসিন্দারা একাধিক দাবি ও প্রশ্ন তুলে আসানসোলের সীতারামপুরে ডিজিএমএসের ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়েছিলেন গণ সাক্ষর করে। তাতে তারা কোলিয়ারিতে নিয়ম না মেনে ব্লাস্টিংয়ের কথা বলেছিলেন। সেই ব্লাস্টিংয়ের কারণে গ্রামের কি কি ক্ষতি হচ্ছে, তাও জানান। সেই চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছিলো আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তম, ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার জিএম, মেনধেমো ও নরসুমদা কোলিয়ারির ম্যানেজার ও হিরাপুর থানার ওসিকে। তাপস বন্দোপাধ্যায় সেই চিঠি পাওয়ার পরে গোটা বিষয়টি দেখার জন্য একটি চিঠি লেখেন ডিজিএমএসের ডিরেক্টরকে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিএমএসের ডিরেক্টর তাপস বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানান, বুধবার একটি দল গ্রামে যাবেন। তারা কথা বলবেন। সেইমতো এদিন সকালে ডিজিএমএস ও ইসিএলের আধিকারিকরা গ্রামে পৌঁছলে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদেরকে ঘেরাও করে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলেন। আধিকারিকরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। গ্রামের বাসিন্দা তাঁদেরকে পরিষ্কার করে বলেন, কোন অবস্থাতেই কোলিয়ারিতে ব্লাস্টিং করা যাবে না। এই ব্লাস্টিংয়ের কারণে গ্রামের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি গত ৮ বছর ধরে তাঁরা বারবার ব্লাস্টিংয় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এদিন বিক্ষোভের আঁচ এতোটাই ছিলো যে, ইসিএলের আধিকারিকরা কার্যত গ্রাম থেকে পালিয়ে যান। আধিকারিকরা কিছু, না বললেও, জানা গেছে, তারা গোটা বিষয়টি রিপোর্ট আকারে উচ্চ মহলে জমা দেবেন।

প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের কাছে যোশীমঠের সঙ্গে রানীগঞ্জ কয়লাখনি এলাকার তুলনা টেনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments