সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– এমভিআই দপ্তরের ট্যাক্স আদায়ের নামে জুলুমবাজির অভিযোগে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের আসানসোলের কুলটি থানার চৌরঙ্গি ফাঁড়ির অন্তর্গত রামপুর এমভিআই দপ্তরে। শুক্রবার রাতে এমভিআই দপ্তর ঘেরাও করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় কুলটি বরাকর অঞ্চলের গাড়ি চালকরা। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার চৌরঙ্গি ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনার সুত্রপাত হয় স্থানীয় ট্রাক মালিক সুমিত আগরওয়ালের গাড়ি ওভার লোডিং এর দায়ে ধরা পড়ে। অভিযোগ এমভিআই দপ্তরের পক্ষ থেকে চালককে আটক করে ২৭ হাজার টাকা ফাইন করা হয়। এতেই ক্ষেপে ওঠে চালক ও গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের মতে মাল পরিবহণ করে যেখানে ১০০০টাকা রোজগার হয় সেখানে বিশ -পঁচিশ হাজার টাকা ফাইন দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া এমভিআই দপ্তরে ট্যাক্স আদায়ের নামে দালাল রাজ চলছে বলেও অভিযোগ চালকদের। আবার ট্যাক্স ও এনট্রি আদায়ের নামে গাড়ি চালকদের ধাওয়া করে দুর্ঘটনা ঘটানোর মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক বার। এর আগে এমভিআই এর দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে শাসক ও বিরোধী দল ধর্না অবস্থানও করেছে। তার পরেও কোনো প্রকার সুরাহা হয়নি বলে দাবি গাড়ি মালিক ও চালকদের।
শুক্রবার রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি বরাকর চেম্বারের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শিবকুমার আগরওয়াল। তাঁরা দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন। কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তবে বিক্ষোভ কারীরা রাত্রে বাড়ি ফিরে যায়।
অ্যদিকে ওই এমভিআই দপ্তরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শাসক বিরোধী দুই পক্ষই। কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি শুভাশীষ মুখার্জি বলেন রামপুর এমভিআই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দপ্তর ঠিকই। তবে এই দপ্তরের আধিকারিকরা নিজেদেরকে সরকার ও প্রশাসনের উর্দ্ধে ভাবেন ও যথেচ্ছাচার করেন। এর জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে কনভেনার টিঙ্কু ভার্মা বলেন এর আগেও ডিএম এর নেতৃত্বে তদন্ত হয়েছে। এমভিআই আধিকারিকরা সরকারের ট্যাক্স আদায়ের সাথে নিজেদের পকেট ভরতে ব্যস্ত রয়েছেন।পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত হলেই সব ধরা পড়বে।