সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- কোন স্টেজ নেই, নেই কোনো মাইক বক্স, নেই কোনো রকমের কোন জাঁকজমক, এমনকি বসবার জন্য একটি চেয়ারও নেই, তাও নেতাজির জন্ম দিবস পালন হচ্ছে বাঁকুড়ার এক প্রত্যন্ত ইটভাটাতে …..শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। হাতে-পায়ে কাদা মাখা, মাথায় গামছা বাঁধা একদল মাকে যখন তাদের সন্তানেরা হঠাৎ গিয়ে, জল দিয়ে হাত পা ধোয়াতে থাকে তখন মায়েরা চিৎকার করে বলে ওঠে’ওমা কি করছিস’? তাদের সকলের মুখে এক উত্তর ‘রাস্তার মাস্টার’ করতে বলেছে….. জানোনা আজ নেতাজীর জন্মদিন? জানোনা নেতাজি তার মাকে কত ভালোবাসত! আর আমরা এটুকু পারবোনা! সন্তানের মুখে একথা শুনে মায়ের চোখে জল…..। সম্ভবত এটাই আজ নেতাজিকে দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। নেতাজির মাতৃভক্তিকে ইটভাটার খুদে কচিকাঁচাদের মধ্যে গড়ে তোলার জন্য এমনই অভিনব উপায়ে নেতাজির জন্ম দিবস পালন করলেন রাস্তার মাস্টার।
এখানেই তিনি থেমে থাকেননি একইসঙ্গে কেক কেটে জীবনে প্রথমবার কচিকাঁচাদের ও একই সঙ্গে নেতাজির জন্মদিবস পালন করলেন। উদ্দেশ্য একটাই নেতাজির আদর্শকে কচিকাঁচাদের মধ্যে তুলে ধরা। এ বিষয়ে একজন ইট শ্রমিক মাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, জীবনে প্রথম মেয়ের চোখে এতটা আনন্দ দেখলাম। আজ ১৩ বছর বয়সে আমার মেয়ে জীবনে প্রথমবার জন্মদিন পালন করল। ধন্যবাদ রাস্তার মাস্টারকে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথা সমাজসেবী শিবরাম দত্তকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি রাস্তার মাস্টারের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন ‘রাস্তার মাস্টার’ আমাদের গর্ব। সমাজসেবী মানিক মহাপাত্র বলেন, রাস্তার মাস্টারের কর্মকান্ড দেখে আমি খুবই আপ্লুত। শুধু কেককেটে নেতাজি জন্ম দিবস পালন নয় একইসঙ্গে তিনি ইটভাটার সকল মা ও কচিকাঁচাদের হাতে নতুন শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে রাস্তার মাস্টারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি মূলত নেতাজির আদর্শকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, বিশেষত নেতাজির মাতৃভক্তিকে।