নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– ফ্রেট করিডরের জন্য় উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হল রেলকর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং গো ব্যাক স্লোগান দেন বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিধায়ক। সব মিলিয়ে এদিন কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় দুর্গাপুরের মায়াবাজারের রেল বস্তি এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত,দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় রেলের জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছেন ৫০-৬০টি পরিবার। বিগত কয়েক মাস আগে সেই জমি থেকে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বসবাসকারীদের দাবি ছিল, তাঁদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হোক। একাধিক বার রেলের কাছে সেই দাবিও রাখেন স্থানীয়রা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, সে কথায় কর্ণপাত করেনি রেল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে ২৪ তারিখের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এদিন রেলের কর্মী আধিকারিকরা জেসিবি মেশিন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে এলে স্থানীয়রা রুখে দাঁড়ান। তাঁদের সঙ্গ দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
অন্য়দিকে এদিন স্থানীয় মানুষের পাশে থাকার জন্য এলাকায় পৌঁছে স্থানীয়দিরে ক্ষোভের মুখে পড়েন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁকে দেখেই গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বিধায়ক। যদিও তিনি দাবি করেন এলাকার মানুষেরাই তাঁকে ডেকেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের আশ্রিত কিছু দালাল ও দুষ্কৃতীর জন্য এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। যদিও স্থানীয়দের একাংশদের দাবি গত প্রায় চার মাস ধরে রেলের উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে সরব হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। এত দিনে একবারও দেখা মেলেনি স্থানীয় বিধায়কের। এখন আর তাঁর দরকার নেই। অন্যদিকে বিধায়ক দাবি করনে স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবিতে ইতিমধ্যেই তিনি একাধিক জায়গায় চিঠি লিখেছেন। রাজ্য সরকার জমি দিলে কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেবে। কিন্তু তৃণমূল তাতে বাধা দিচ্ছে। তিনি আগেও এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন আগামী দিনেও থাকবেন বলে জানিয়ে যান।