জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কাটোয়াঃ- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর অনুপ্রেরণায়, কাটোয়া মহকুমার পৌরহিত্যে, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লকের সহযোগিতায় এবং মঙ্গলকোট ১ নং চক্রের পরিচালনায় ৩১ শে জানুয়ারি পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো কাটোয়া মহকুমার ৪০ তম শীতকালীন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় মহকুমার ৮ টি চক্রের বিভিন্ন প্রাথমিক, নিম্নবুনিয়াদী, মাদ্রাসা ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র থেকে মোট ২৫১ জন প্রতিযোগী ৩৪ টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। জানা যাচ্ছে এখানে যারা বিজয়ী হবে পরবর্তীকালে তারা জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
প্রদীপ প্রজ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন কেতুগ্রামের বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজ, মঙ্গলকোটের আইসি পিণ্টু মুখার্জ্জী সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, কাটোয়া মহকুমা শাসক অর্চনা পি ওয়াংখাড়ে, মঙ্গলকোটের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জগদীশ চন্দ্র বারুই, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ, চাণক পঞ্চায়েত প্রধান, আটটি চক্রের এসআই, জেলা প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পদাধিকারী, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জুলফিকার আলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডিআইএস স্বপন কুমার দত্ত সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তৃপ্তি চ্যাটার্জ্জী। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কপালে চন্দনের টিপ ও গলায় উত্তরীয় পরিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত ও অতিথিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক। সংশ্লিষ্ট চক্রের এসআইরা নিজ নিজ চক্রের পতাকা উত্তোলন করেন। উড়িয়ে দেওয়া হয় শান্তির দূত শ্বেত পায়রা। ছিল এনসিসি সদস্যদের মার্চ পাস্ট, মশাল দৌড়।
সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। দূরদূরান্ত থেকে প্রতিযোগীরা ধীরে ধীরে মাঠমুখী হতে থাকে। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত খেলোয়ার ও বিভিন্ন মনীষীর চিত্র সমৃদ্ধ নীল-সাদা ক্যানভাস দিয়ে মাঠটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রতিযোগিতাটি সফল করে তোলার জন্য উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আয়োজনের কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি।
তবে ঘাটতি ছিল একটা জায়গায়। প্রতিযোগী ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা ছাড়া অতীতের মত দর্শক সমাগম ছিলনা। এটা নিয়ে অনেককেই আক্ষেপ করতে দ্যাখা যায়। তাদের বক্তব্য – মাঠে দর্শক সমাগম হলে প্রতিযোগীরা আলাদা উৎসাহ পায়।
মহকুমা শাসক বললেন – পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের প্রতিযোগিতার যত আয়োজন করা হবে তত বর্তমান প্রজন্ম শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। নিজের সন্তানদের যতটা সম্ভব মোবাইল কালচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তিনি অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেন।
বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বললেন – আমাদের সরকারের নীতি হলো সর্বস্তরে খেলাধুলার বিস্তার ঘটানো। তারই অঙ্গ হলো এই প্রতিযোগিতা। তিনি আরও বলেন – আশাকরি এই প্রতিযোগিতা দেখে ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে মাঠমুখী হবে এবং সরকারের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ সফল হবে।