জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- গুসকরা পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সংহতি পল্লীর একটি অংশে রাস্তার মাঝে ছিল বিদ্যুতের তারবাহী পোল। পাড়াটি পৌরসভার কাছে বামুন পুকুরের পূর্বদিকে অবস্থিত। হেঁটে চলাচল করতে অসুবিধা না হলেও এখানে বসবাসকারী প্রায় ১০ টি পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা বেশ সমস্যায় পড়ত। রাস্তার মাঝখানে পোল থাকার জন্য চারচাকা তো দূরের কথা টোটো পর্যন্ত ঢুকতে পারতনা। এমনকি কেউ আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়েও চিন্তা করতে হতো।
সমস্যার সমাধানে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তর ও পৌরসভায় আবেদন করেও বিশেষ ফল হয়নি। যদিও নব নির্বাচিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। অবশেষে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগমের উপস্থিতিতে ১১ ই ফেব্রুয়ারি রাস্তার মাঝখান থেকে পোলটি স্থানান্তরিত হয় এবং পাশেই নতুন পোল বসানো হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সংশ্লিষ্ট পাড়ার বাসিন্দারা এবং তারা ভাইস চেয়ারম্যান ও পুরসভার ভূমিকায় খুশি হয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান।
বেলি বেগম ছাড়াও পোল স্থানান্তরের সময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ও অন্যান্য কয়েকজন তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সংশ্লিষ্ট পাড়ার বাসিন্দারা।
ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্ণালী চৌধুরী বললেন – পোলটি রাস্তার মাঝখানে থাকার জন্য আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছিল। এটা ঠিক মূল রাস্তা থেকে বাড়িগুলি ৫০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু টোটো বা চারচাকা ঢুকতে না পারার জন্য অসুস্থ ও প্রবীণ ব্যক্তিদের নিয়ে খুব সমস্যা হতো। সেই সমস্যা দূর হওয়ার জন্য তিনি বেলি বেগম সহ পুর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
যার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে পোল স্থানান্তর হলো সেই বেলি বেগম বললেন – জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্যেই দল ও জনগণ আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী দিনেও আমি একইভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – আমি আমার কাউন্সিলারদের জন্য গর্বিত। পুরবাসীর স্বার্থে তারা সর্বদাই সচেতন আছে এবং আগামাদিনেও থাকবে। এটাই আমাদের টিম স্পিরিট।