সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য। শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের পর এবার হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের একাধিক স্কুলের প্রায় দুহাজার চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরোধীতা করে চাকরি হারানো কর্মীরা ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও আপাতত স্কুল গুলি কর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে স্কুল পরিচালনায়। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। কোথাও আবার সেই দায়িত্ব পালন করছেন খোদ প্রধান শিক্ষক। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের বেলুট উচ্চ বিদ্যালয়ে। যেখানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষককেই।
১৪১ বছরের পুরনো বেলুট উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় বারোশো। শিক্ষকও রয়েছে পর্যাপ্ত । কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষক কর্মীদের জন্য এতদিন দুজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিযুক্ত ছিলেন স্কুলে। দেবব্রত লোহার ও পথিক দে। ২০১৮ সাল থেকে বেলুট উচ্চ বিদ্যালয় কর্মরত ছিলেন এই দুই কর্মী। কিন্তু গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বেলুট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই গ্রুপ ডি কর্মীও। আপাতত চাকরি হারিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে তাঁদের। যার ফলে উচ্চবিদ্য়ালটি চতুর্থ শ্রেণির কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই ওই দুই চতুর্থ শ্রেণির যাবতীয় কতর্ব্য পালন করতে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষককেই। ঘন্টা বাজানো থেকে ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ দরজা খোলা সব দায়িত্বই এখন পালন করছেন তিনি। তবে সহ শিক্ষকরাও সাহায্য় করছেন প্রধান শিক্ষককে। কেউ জল ভরছেন, তো কেউ আবার ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন এই টেবিল থেকে সেই টেবিল। এদিকে সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষার কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রধান শিক্ষকের কপালে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে তিনি ও সহ শিক্ষকেরা।