সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- শিবরাত্রির দিনে দেবাদিদেব মহাদেবের এই ব্রতকথাটি মন ও ভক্তি সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন দেবাদিদেব মহাদেব কতটা দয়ালু, তিনি কত অল্পেই সন্তুষ্ট হন। শিব পুরাণে শিবরাত্রির ব্রতকথা নিয়ে একটি কাহিনী আছে । যেখানে কথিত আছে যে, সুদর্শন নামের এক রাজা তাঁর পোষ্য কুকুরকে সাথে করে শিকারের জন্য গিয়ে ছিলেন।
সারাদিন ধরে তিনি কোনো শিকার পান নি,ফলে তিনি ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়ে একটি জলাধারের পাড়ে একটি বেলগাছের তলায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। অতঃপর সেখানে তিনি একটি শিবের লিঙ্গ খুঁজে পান। শিবলিঙ্গের ধুলো ঝেড়ে ও আশপাশের আগাছা পরিষ্কার করে তিনি শিবলিঙ্গ টির মাথায় জল ঢালেন ও সারা রাত্রি জাগরণ করেন। ঘটনাচক্রে এই রাত্রিটি ছিলো মহা শিবরাত্রি।
তাই এইভাবে নিজের মনের অজ্ঞাতেই তাঁর শিবরাত্রি পালন হয় ও এর জন্য তাঁর মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। তাঁর মৃত্যুর পর যমদূত তাঁকে যমলোকে নিয়ে যেতে আসে তখন সেখানে মহাদেবের দূতও উপস্থিত হয় তাকে স্বর্গ লোকে নিয়ে যেতে। অবশেষে যমদূতের সাথে লড়াই করে তাকে উদ্ধার করে স্বর্গলোকে নিয়ে যায় শিবদূতরা।
অনেকেই বলেন শিব রাত্রি কেবলমাত্র মেয়েরাই পালন করেন বর লাভের আশায়। তা ঠিক নয়, শিবরাত্রির ব্রত কথায় আছে যে, এই ব্রত যে করে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয় ও তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। তাই নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এই ব্রত করেন।