নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর তাতেই অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তবে সরকারি কর্মীদের দাবি ছিল ডিএ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় হারে ৩৮ শতাংশ করতে হবে। আর এই বর্ধিত ডি-এর দাবীতে সোম ও মঙ্গল রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেয় প্রায় চৌত্রিশটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’।
সেই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সোমবার সকাল থেকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে নামে এবং আদালতের সামনেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তার আগে তাঁরা আদালত চত্তরে মিছিলও করেন। মঞ্চের পক্ষে ইকবাল হোসেন জমাদার স্পষ্ট বলেন, “আমারা আন্দোলন জারি রাখবো l কোন রকম শাস্তির খাঁড়াকে উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ।”
অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের এই কর্মবিরতির জেরে আদালতের কার্যকর্ম থমকে যায়। দূর দূরান্ত থেকে আগত মানুষজনকে এই কর্মবিরতির জেরে ফিরে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেও তাঁদের কিছু করার নেই বলে দাবি করেন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এর পক্ষে ইকবাল হোসেন জমাদার। অন্যদিকে কর্মবিরতির জেরে সাধারণ মানুষের দুর্গতির বিষয়টি নিয়ে মহকুমা আদালতের বিচার পতিদের দ্বারস্থ হন মহকুমা আদালতের আইনজীবিরা।
মহকুমা আদালতের এক আইনজীবী কল্লোল ঘোষ বলেন, “উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের কাজকর্ম কোনও ভাবে ব্যহত করা যাবে না। আমরা বিচারপতিদের কাছে সেই দাবি করেছি আদালতের যে কাজকর্ম সেটা স্বাভাবিক রাখতে হবে।” পাশাপাশি মহকুমা আদালতের আরও এক আনজীবী তুষার গুপ্ত বলেন, “হাজিরার খাতায় সই করে আন্দোলন এটা দ্বিচারিতা, আমরা এর বিরোধীতা করছি। “