সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- আমরা ধর্মকে না জেনে অনেক সময়ই ধর্ম সম্পর্কে ভুলভাল ব্যাখ্যা করি। এমনটা হয় আমরা সঠিকভাবে ধর্মকে উপলব্ধি করতে না পারার কারণে। হয়তো কোন একজন মহাপুরুষ বা অবতার পুরুষ ধর্মের কোন একটি বাক্যের বিরোধ বক্তব্য স্থাপন করেছেন, তার মানে কিন্তু এটা নয় তিনি ধর্মের বিরোধিতা করেছেন। হয়তো তিনি ধর্মকে সম্যকভাবে জেনেই এবং তাকে সম্মান করেই কথাটি বলেছেন কিন্তু আমরা সবসময় সেই বিষয়টির ভুল মানে করি। যেমন স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে একটি কথা ভীষণভাবে প্রচলিত আছে যে তিনি নাকি গীতার বিরোধিতা করেছেন। সত্যিই কি তাই? যেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রতিটি কথার সঙ্গে গীতায় বলা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণীর মিল রয়েছে, পরমহংসদেব স্বয়ং বলেছেন যে গীতার মূল অর্থই হচ্ছে ত্যাগ, সব ত্যাগ করে ভগবানের মন দেওয়ায় হল গীতার মূল অর্থ,তাহলে তার শিষ্য হয়ে স্বামীজি কিভাবে গীতাকে অবজ্ঞা করতে পারেন?
আসলে স্বামীজি গীতা সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “ এক ঘন্টা গীতা পড়ার চেয়ে ঢের ভালো এক ঘন্টা ফুটবল খেলা।” এইকথার ব্যাখ্যা করি আমরা যে স্বামীজি গীতা পাঠের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সেটা সঠিক অর্থ নয়। স্বামীজির ব্যাখ্যা হলো, ‘গীতা অনুসরণ করিতে গেলে সবার আগে একটি শক্ত সমর্থ দেহ চাই। দুর্বলের কাজ নয় গীতা অনুসরণ করা।’ তাই তিনি ফুটবল খেলার কথা বলতেন। তিনি গীতাকে অবজ্ঞা করেননি।