সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- এবার রেলের ‘গুড শেড’ পরিদর্শণে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মহকুমা শাসক, পৌরপ্রধান, পৌর উপপ্রধান সহ অন্যান্যরা। এমনকি পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। এদিন বাঁকুড়া স্টেশন ‘গুড শেড’ পরিদর্শণে গিয়েছিলেন বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত, পৌরপ্রধান অলকা সেন, পৌর উপপ্রধান হীরণ চট্টরাজ সহ পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে ওই গুড শেড থাকায় কয়লার কালো গুঁড়োতে এলাকা ভরে যাচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু বৃদ্ধ থেকে সকলেই। এছাড়াও শ্বাস কষ্টের সমস্যায় ভূগছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত প্রতিদিন বড়জোড়া থেকে কয়লা বোঝাই লরি বাঁকুড়ার ওই গুড শেডে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে রেলের মালবাহি গাড়িতে বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয় ওই কয়লা। এই অবস্থায় রেলের ওই গুড শেড অন্যত্র সরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা। আর এই আন্দোলনের খবর পেয়েই ও কয়লা সরবরাহ নিয়মিত রাখতে এদিন গুড শেড পরিদর্শনে যান মহকুমা শাসক, পৌরসভার পৌর প্রধান, উপ প্রধান সহ সরাকরি আধিকারিকরা এবং স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
এদিন বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত বলেন, গত তিন বছর ধরে এখানে এই কাজ চলছে। দূষণ ছড়াচ্ছে এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, উইণ্ড স্ক্রীণ লাগানো হবে, রেলের ডি.আর.এমের সঙ্গে এবিষয়ে বৈঠকও হবে। তবে রেলের এই গুড শেড অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করার অধিকার তাঁদের হাতে নেই বলেও এদিন জানান তিনি। অন্যদিকে বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান হীরণ চট্টরাজ বলেল, এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়ে আমরা সরজমিনে তদন্তে এসেছি। কয়লা সরবরাহ নিয়মিত রাখতে হবে, সঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণেও ব্যবস্থা গ্রহণে করতে হবে। সব মিলিয়ে দ্রুত এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।