সংবাদদাতা , দুর্গাপুর ঃ দুর্গাপুর আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সর্বজন পরিচিত নাম রাজু ঝা আজ পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় সংলগ্ন এলাকায় গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, আজ বৈকাল দিকে তিনি তার সিটি সেন্টার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিলাসবহুল হোটেল থেকে সহযোগী ব্রতিন মুখার্জিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । সূত্র মারফত জানা গেছে, জাতীয় সড়ক ধরে শক্তি গড় সংলগ্ন এলাকায় ল্যাংচা হেবের কাছে পেছন থেকে নীল রঙের একটি এসইউবি গাড়ি হঠাৎ করে রাজু ঝায়ের গাড়ির পাশাপাশি এসে গুলিবর্ষণ শুরু করে । এই ঘটনায় সামনের সিটে বসে থাকা রাজু ঝা লুটিয়ে পড়েন ও ব্রতিন মুখার্জির হাতে ও অন্যান্য জায়গায় গুরুতর চোট লাগার কারণে তাকে বর্ধমান বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে ।
উল্লেখ্য এই রাজু ঝায়ের আসল নাম রাজেশ ঝা । গত কয়েক দশক ধরে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া হিসেবেই তার নাম শুনে এসেছেন । এই রাজেশ যা ওরফে রাজু ঝাঁই গত বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন এবং শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক প্রচার অভিযান চালান । সিটি সেন্টারে অবস্থিত তার বিলাসবহুল হোটেলে ভারত বর্ষ তথা বিশ্বের বহু নামিদামি ব্যক্তিরা এসে থেকেছেন ও থাকছেন। তবে শিল্পাঞ্চল জুড়ে ওই বিলাসবহুল হোটেলটি ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক বড় মাপের নেতাদের বৈঠক স্থল হয়ে উঠেছিল । কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজু ঝায়ের আরেক সহযোগী লোকেশ সিংহের, সিটি সেন্টারে অবস্থিত বেঙ্গল অম্বুজার বাড়ির লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ রয়েছে। সেই গুলি চালানোর ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পুলিশ তেমন কোনো সাফল্য পাইনি । এরই মধ্যে আজ সন্ধ্যা ৮ঃ১০ নাগাদ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা । এই হত্যাকাণ্ডের খবর আগুনের মতন ছড়িয়ে গেছে গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে । আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বুকে কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অন্তর ধান হাওয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে । পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কমলাশিস সেন জানিয়েছেন, এই গুলি কাণ্ড ঘটনায় যে নীল রঙের এসইউভিটি কলকাতার উদ্দেশ্যে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে গিয়েছে তার খোঁজ চলছে। অন্যদিকে পালসিট টোল প্লাজা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে দ্রুত গতিতে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে আগামী বেশ কয়েক দিন রাজু ঝায়ের এই হত্যাকাণ্ডের চর্চায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে ।