সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়া অর্থে উন্নয়নমূলক কোন কাজ করা যাচ্ছে। নানান অছিলায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে সরকারী আধিকারিকরা পর্যন্ত ‘বাধা’ দিচ্ছেন। রীতিমতো পোস্টার দিয়ে জনসমক্ষে শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি। সোনামুখীর ডিহিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশডাঙ্গা এলাকায় বিশালাকার ওই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও রাজনৈতিক তরজা।
পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘বিধায়ক দীবাকর ঘরামি মহাশয় এর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে দেওয়া কাজ গুলি বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির অসহযোগীতার জন্য দীর্ঘ ১ বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু করা গেলনা।’
এবিষয়ে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, বিধায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর আটটি স্কুলে অ্যাকোয়াগার্ড লাগানো, ধানসিমলা হাই স্কুলে শেড ও পাত্রসায়র হাসপাতালে পাঁচিল তৈরীর কাজ হয়। পরে আরো ৩০ লক্ষ টাকা পাই। মোট ৬০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৩৮ লক্ষে কিছু বেশী টাকার কাজ ‘আটকে’ আছে। ‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও-র অসহযোগীতায় বাকি টাকার কাজ করা যাচ্ছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি জেলাশাসক, বিধানসভার অধ্যক্ষ ও বিধানসভা এলাকা উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যানকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলে জানান।
যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের নেতা ও সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘ভোটের আগে বিজেপি মিথ্যাচার করছে’। ওই দলের বিধায়ক থেকে সাংসদ কারো কাজ করার কোন মানসিকতা নেই। অন্যদিকে সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন , বিজেপি বিধায়ক ধাপ্পাবাজ দু’বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল সোনামুখী বিধানসভায় একটি কাজও করেননি তিনি । এখন নির্বাচন আসন্ন দেখে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন ।