eaibanglai
Homeএই বাংলায়কাবাড়িখানা থেকে পোস্টঅফিসের লোগো দেওয়া বস্তাবন্দি অধারকার্ড উদ্ধার

কাবাড়িখানা থেকে পোস্টঅফিসের লোগো দেওয়া বস্তাবন্দি অধারকার্ড উদ্ধার

সংবাদদাতা,পুরুলিয়া :– এবার পুরনো কাগজপত্র বেচাকেনার একটি দোকানের গুদাম থেকে উদ্ধার হল ভারতীয় ডাকবিভাগের লোগো লাগানো বস্তা। আর সেই বস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে আধার কার্ড, ডাকঘরের পাসবই এমনকি ব্যঙ্কের এটিএম কার্ডও। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া শহরে। পরে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভগৎ সিং মোড় এলাকার ওই দোকানের গুদামঘর থেকে ১৪টি বস্তা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে কতগুলি বস্তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে তা জানা যায়নি।

বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের অন্যতম গুরুত্ব পূর্ণ নথি তথা পরিচিয়পত্র আধার কার্ড। সেই আধার কার্ড এভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে গেছে। ঘটনায় পুরুলিয়া জেলা ডাক বিভাগের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যখন আধার কার্ড তৈরি করতে ও সংশোধন করতে নাজেহাল হতে হয় আমজনতাকে তখন এই ভাবে ডাক বিভাগের লোগো সহ বস্তা থেকে একের পর এক আধার কার্ড বের হচ্ছে কিভাবে? এর পেছনে কে বা কারা জড়িত? এতে ডাক বিভাগের ভূমিকাই বা কি? উঠছে এই সব হাজার রকমের প্রশ্ন।

অন্যদিকে ওই দোকানের মালিক মোকাররম আলী বিষয়টি নিয়ে বলেন, “আমি পুরনো অব্যবহার্য কাগজপত্র কিনি। আর সেই মতোই এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে ওই বস্তাবন্দি কাগজ কিনেছিলাম । পরে দেখি এটা থেকে আধার কার্ড সহ বেশকিছু গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র বের হয়। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি জানাই, ও ওই সব নিথ জমা দিই।”

কোন ফেরিওয়ালা ওই বস্তাবন্দি কাগজ বিক্রি করেছিল তার খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কথা জানায়িছে পুরুলিয়া ডাক বিভাগ। তবে কতগুলি আধার কার্ড বা পাশবই মিলেছে, কিংবা আধার কার্ডগুলি কোন এলাকার, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ডাক বিভাগের কর্তারা। তবে এক আধিকারিক বলেন, “আধার কার্ড এ ভাবে রদ্দির সঙ্গে পাওয়ার কথা নয়। প্রাপককে না পাওয়া গেলে প্রেরকের ঠিকানায় তা ফেরত যাওয়ার কথা।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments