eaibanglai
Homeএই বাংলায়খুব অলস?সময়ে কাজ হয় না?কী করবেন?

খুব অলস?সময়ে কাজ হয় না?কী করবেন?

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দ প্রত্যেকেই পজিটিভ এনার্জির কথা স্বীকার করেছিলেন। অর্থাৎ আমরা যদি পজিটিভ ভাবনা চিন্তা রাখি তাহলে নেতিবাচকতা বা নেগেটিভ এনার্জি আমাদের থেকে এমনি এমনি দূরে চলে যাবে। এর জন্য আলাদা করে আমাদের কোন পরিশ্রম করতে হবে না। কিন্তু আমরা মুখে যেটা বলি সেটা কাজে করা খুব কঠিন, আমরা মনে মনে অনেক কিছু জানলেও বা ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পড়াশোনা করলেও বাস্তবে প্রয়োগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা সেগুলিকে বিশ্বাস করতে পারি না। যেমন আমরা সবাই জানি অলস ব্যক্তিরা ক্রিয়েটিভ হয়, বিদেশের কোম্পানিরা অলস ব্যক্তিদের কেই বেশি প্রাধান্য দেয় কারণ তারা অল্প সময়ে কীভাবে কাজ সম্পন্ন করতে হবে তার বুদ্ধি দিতে পারে, কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যখন আমরা কোন মানুষকে দেখি যে আলস্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, তখন আমরা কোন কারণ ছাড়াই তার সমালোচনা করি, আমরা ভুলে যাই প্রত্যেকটি ব্যক্তি নিজেদের মতো করেই সুন্দর আর সেই কারণে যারা অন্যের মতো সবসময় কাজ করতে পারেন না, কিছুটা অলস তারা নিজেরাও মনে মনে একটা হীনমন্যতার মধ্যে ভোগেন,তাই বিভিন্ন সময় দেখা যায় মহারাজদের কাছে এলে মানুষ জিজ্ঞেস করেন কীভাবে কর্মঠ ভাবে কাজ করতে পারবেন?

একবার একজন ভক্ত যেমন মহারাজকে প্রশ্ন করেছিলেন,“আমার সমস্যা আলস্য,ঘুম থেকে উঠি 8 টায়। কাজ সময়ে শেষ করতে পারি না। নিজের উপর রাগ হয় কিন্তু কিছুতেই শুধরাতে পারি না। কী করবো?”

স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ কিন্তু খুব সুন্দর করে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন, অলস ব্যক্তিরাও যে সমাজে ইমপর্টেন্ট এবং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝিয়ে তিনি তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি পজিটিভ বার্তা দিয়েছিলেন। মহারাজ বলেছিলেন,“শুধরাতে হবেনা, enjoy, আলস্যের মজা নিন। অলস ব্যক্তিরা কখনো উৎপাত করে না, পলিটিকস বা সমাজসেবা করে। দ্বিতীয়ত, তারা কখনো আত্মহত্যা করে না। তারা জানে মৃত্যু একদিন না একদিন হবেই, তাই এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করা অনাবশ্যক।   

কী করবেন? কাল থেকে 2 সপ্তাহ 8 টাতেই উঠুন। জমিদারি স্টাইলে খান, অফিসে যান, ধীরে ধীরে কাজ করুন। শুধু কিছুটা সময় নিয়ে নতুন কিছু একটা করুন। রোজ। বন্ধুদের দেখিয়ে দিন অলস হলেও আপনি প্রতিভাশালী। তাদের বলুন যে hard work করার জন্য গরু-ঘোড়া আছে, মানুষ করে smart work. আর এভাবে কম সময়ে বেশি কাজ করে অলস ব্যক্তিরা নিজের প্রতিভা দেখায়। দেখবেন যে বন্ধুদের চেয়ে আপনি বেশি বুদ্ধিমান প্রমাণ হয়ে গেছে, কেউ আর আপনাকে সমালোচনা করছে না। মানুষকে শেখান, কত ঘন্টা কাজ করছি এটা important নয়, নতুন কি সৃষ্টি করলাম সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে অলস হলেও আপনি মূলত বুদ্ধিমান ও creative. এবার সবাইকে দেখান যে সমাজে আপনার চাহিদা ও দাম আছে। আপনি সাধারণ মানুষ নন, the society needs you. কিভাবে করবেন? 

দেখুন আলস্য ছাড়া আর কি বিশেষ গুণ আছে আপনার। ঐ গুণ দিয়ে সমাজকে কিভাবে পথ দেখাতে পারেন আপনি? কিভাবে আপনি এক পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারেন মানুষের সামনে? এ নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি। ঠাকুরের কথা মনে রাখবেন, “পূবদিকে এগোলে পশ্চিমদিক নিজেই পিছিয়ে পড়বে।” অর্থাৎ, পজিটিভ দিকে জোর দিলে নেগেটিভ এমনিতেই চলে যাবে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments