eaibanglai
Homeএই বাংলায়ডেঙ্গু রোধে তৎপর গুসকরা পুরসভা

ডেঙ্গু রোধে তৎপর গুসকরা পুরসভা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- সরকারি ভাবে ‘দুয়ারে বর্ষা’ হতে মোটামুটি একমাস দেরি। সঙ্গে দোসর হয় ডেঙ্গুর বাহন মশা। গুসকরা শহরের আকৃতি অনেকটা কড়াইয়ের মত হওয়ার জন্য সহজে জল বের হতে চায়না। স্বাভাবিকভাবেই মশককুল তাদের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ পেয়ে যায়। শহরবাসীদের যাতে ডেঙ্গুর শিকার না হতে হয় তারজন্য তৎপর হয়ে উঠেছে গুসকরা পুরসভা। ঠান্ডা ঘরে না বসে থেকে মাঠে নেমে পড়েছে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ প্রত্যেক কাউন্সিলর।

গত ২ রা মে থেকে তিনদিন ধরে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ৯ নং ওয়ার্ডে সকাল বেলায় দু’জন সাফাই কর্মীকে নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম। ২-৩ ঘণ্টা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিকাশী নালা অর্থাৎ ড্রেনগুলো পরিস্কারের কাজ তদারকি করছেন। সঙ্গে থাকছেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সুপার ভাইজার ইসমাইল মোল্লা, ওয়ার্ড সচিব সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। প্রসঙ্গত শহরের যেসব ওয়ার্ডগুলোর নিকাশী ব্যবস্থা দুর্বল তার অন্যতম হলো এই ওয়ার্ডটি। নিজেদের ওয়ার্ডে কাউন্সিলের ভূমিকায় খুশি ওয়ার্ডবাসীরা।

ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্ণালী চৌধুরী বললেন- বৃষ্টি হলেই আমাদের ওয়ার্ডে জল জমে যায়। সহজে বের হতে চায়না। এখন ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার হলে আশাকরি মশার দাপট কম হবে। তবে আমাদের এই ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি পাকা ড্রেনের দরকার।

বেলী দেবী বললেন – আমার ওয়ার্ডে জল নিকাশীর কিছু সমস্যা আছে। ভৌগোলিক আকৃতি তো পরিবর্তন করতে পারবনা। চেষ্টা করছি ড্রেনগুলো যাতে পরিস্কার রাখা যায়। তিনি এই ওয়ার্ডে যে কিছু পাকা ড্রেনের যে দরকার সেটা স্বীকার করে নিলেন। আর্থিক সংস্থান হলেই সমস্ত ড্রেন পাকা করে দেওয়ার বিষয়ে ওয়ার্ডবাসীদের তিনি আশ্বস্ত করলেন।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিয়েছি প্রত্যেক কাউন্সিলর দাঁড়িয়ে থেকে নিজ নিজ ওয়ার্ডের ড্রেন পরিস্কারের কাজ তদারকি করবে। এরফলে সাফাই কর্মীরা উৎসাহিত হবে এবং প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে। এখন মশা তথা ডেঙ্গুর হাত থেকে শহরবাসীদের আতঙ্ক কতটা দূর করতে পারলাম সেটা ভবিষ্যত বলবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments