সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- আজ ১৫ ই মে হলো পবিত্র অপরা একাদশী। এই একাদশী দিন অনেকেই নির্জলা ব্রত করেছেন অনেকে আবার সাবু , আলু, বাদাম,দুধ ইত্যাদি সহযোগে অনুকল্প প্রসাদ ভক্ষণ করছেন। আমরা সকলেই জানি যে অপরা একাদশী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রীতির উদ্দেশ্য করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির কে এই অপরা একাদশীর মাহাত্ম্যের কথা বলেছিলেন, এই একাদশীর মাহাত্ম্য কথা শুনলেও সকল পাপ মোচন হয়।
চলুন আজ অপরা একাদশীর মাহাত্ম্য কথা শুনে নিই –
১। এই ব্রত যিনি পালন করেন তিনি ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, ভ্রুণহত্যা, পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন, মিথ্যাভাষণ প্রভৃতি গুরুতর পাপের থেকে অনায়াসে মুক্ত হতে পারেন।
২। এই ব্রত প্রভাবে মিথ্যা সাক্ষ্যদান করা, ওজন বিষয়ে ছলনা করা, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করা, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা করা, ও মিথ্যা চিকিৎসায়রত থাকার মতো মহাপাপ বিনষ্ট হয়,যার ফলে এই সকল পাপের প্রভাবে ব্যক্তির নির্দিষ্ট নরকযাতনা ভোগ করতে হয় না। এমনকি যদি কোন ক্ষত্রিয় স্ব ধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায় তবে সে নরকগামী হয় কিন্তু সে ব্যক্তিও এই ব্রতপ্রভাবে পাপ মুক্ত হতে পারে।
এসমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়। ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয়। কিন্তু সেও এই ব্রত পালনে মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করে।
৩। যে ব্যক্তি এই ব্রত অবজ্ঞা ভরে করেন না, তাকে বারংবার এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করতে হয়। কারণ এই ব্রতের প্রভাবেই ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে।
৪।অপরা একাদশীর দিন উপবাস করে বিষ্ণু পুজো করলে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে সেই ব্যক্তি বিষ্ণুলোকে গমন করেন আর যে ব্যক্তি ভক্তিযুক্ত মনে এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণ করেন তার সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।