নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- রাজ্য জুড়ে যখন শিক্ষা সহ নান ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপার চলছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্রী ঘরে স্থান হয়েছে একাধিক নেতা মন্ত্রীর তখন শিল্পশহর দুর্গাপুরে অভিনব উপায়ে চাকরির ফাঁদ পেতে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ব্যাঙ্কের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় দুশো থেকে তিনশো জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তি ও মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোকারীদের দাবি দুর্গাপুরের এক এক জায়গায় অন্য অন্য নাম পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রীতিমতো অফিস খুলে প্রতারণার চক্র চালাচ্ছিল ওই দুজন। এদিন বিধাননগরের শিল্পকানন ফেজ় ওয়ানের কাছে একটি অফিস থেকে প্রতারিতরা হাতে নাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তদের এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
প্রতারিতরা জানান বিধাননগরের আগে দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত লিংক পার্কের কাছে একটি অফিস খুলে বসেছিলেন অভিযুক্তরা। সেখানে অভিযুক্ত পুরুষ ব্যক্তিটি অনুরাগ ব্য়ানার্জী ও মহিলা মৌমিতা মণ্ডল নামে নিজেদের পরিচয় দেন। চাকরির দেওয়ার নাম করে তারা ওই এলাকার বহু তরুণ তরুণীর কাছ থেকে টাকা তোলেন। কিছুদিন অনলাইনে ট্রেনিংও দেওয়া হয় চাকরী প্রার্থীদের। এরপর আচমকা অনুরাগ ব্যানার্জি নাম দিয়ে খোলা একটি অনলাইন গ্রুপে লিখে দেওয়া হয় অনুরাগ ব্যানার্জী দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পরে চাকরী পর্থীরা লিংক পার্কের কাছে ওই অফিসে খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেখেন সেখানের অফিসটি বন্ধ হয়ে গেছে। ওই ঘটনার দিন পনেরো পর ফেসবুক পোস্টে কর্মী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি দেখেন প্রতারিতদের একজন। এবং খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখেন বিধাননগরে শিল্পকাননে অন্য নাম নিয়ে ফের অফিস খুলে বসেছে অভিযুক্ত অনুরাগ ব্যানার্জী ও মৌমিতা মণ্ডল। এরপরই প্রতারিতদের বিষয়টি জানালে বুধবার সকলে মিলে বিধাননগরের অফিস থেকে অনুরাগ ব্যানার্জী নামে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে ছুটে যায় বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ ও তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায়। যদিও পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে উল্টে অভিযুক্তদের সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রতারিতরা।