নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর, বাঁকুড়াঃ– শুক্রবার প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স (WBJEE) পরীক্ষার ফলাফল। মেধাতালিকার প্রথম দশে অধিকাংশই সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রী। তালিকা অনুযায়ী, প্রথম ১০ স্থানাধিকারীর মধ্যে ৬ জনই সিবিএসই-র, ৩ জন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এবং একজন আইসিএসই বোর্ডের। কলকাতার পাশাপাশি জেলার ছাত্রী ছাত্রীরাও মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ বারের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাঁকুড়ার দুই পড়ুয়া। একজন সারা মুখোপাধ্যায় এবং অন্যজন সাগ্নিক নন্দী। সারা মেধাতালিকায় তৃতীয় এবং সাগ্নিক অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান করে নিয়েছে দুর্গাপুরের অয়ন গোস্বামী।
বাঁকুড়ার জেলার বাসিন্দা সারা বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হলেও সে দুর্গাপুরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। ফলে এদিন জয়েন্টের রেজাল্ট বেরনোর পর থেকেই খুশির আমেজ দুর্গাপুরের কোচিং সেন্টারটিতে। বরাবরই স্কুলে মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত সারা দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও গৃহশিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭১। শুধু পড়াশোনা নয়, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার পরামর্শে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে পছন্দ করতেন সারা। উত্তীর্ণ হয়েছেন পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিতের জাতীয় অলিম্পিয়াডেও। তিনি ব্যাঙ্গালরের ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)-এও ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। একমাত্র মহিলা হিসাবে সারাই রয়েছেন এ বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রথম দশের তালিকায়।
অন্যদিকে জয়েন্টে অষ্টম স্থান পেয়ে বাঁকুড়ার মুখ উজ্জ্বল করেছেন সাগ্নিক নন্দী। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিকের বাড়ি বাঁকুড়া জুনবেদিয়া এলাকায়। সাগ্নিকের বাবা প্রাক্তন রেলকর্মী, মা গৃহবধূ। পড়াশোনার ক্ষেত্রে তার স্কুলের শিক্ষক, প্রাইভেট টিউটর এবং বাবা মায়ের অবদান রয়েছে বলে দাবি সাগ্নিকের। পড়াশোনা ছাড়াও গল্পের বই পড়তে ভালোবাসেন সাগ্নিক । উচ্চমাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩। আপাতত আইআইটিতে যেতে চান সাগ্নিক।
অন্যদিকে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পঞ্চম স্থান অধিকার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে দুর্গাপুরের ছেলে অয়ন গোস্বামী। দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলের ছাত্র অয়ন মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সফল হওয়ার জন্য একাধিক কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল সে। অয়নের প্রিয় বিষয় অঙ্ক ও কম্পিউটার সাইন্স। এই বিষগুলি নিয়েই ব্যাঙ্গালরের ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ সায়েন্সে অথবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে চায় সে।