নীহারিকা মুখার্জ্জী,দক্ষিণেশ্বরঃ- সীমিত সামর্থ্য নিয়েও মনীষীদের জন্ম বা মৃত্যুদিন পালনে বারবার ব্যতিক্রম ভূমিকা পালন করে চলেছে দক্ষিণেশ্বরের গাঙ্গুলি বাড়ি। বিদ্রোহী কবি নজরুলের ক্ষেত্রেও অন্যথা ঘটলনা। আন্তরিকতা ও আবেগকে সম্বল করে গত ২৬ শে মে পারিবারিক পত্রিকা ‘আয়াস’-এর উদ্যোগে দক্ষিণেশ্বরের নিজস্ব বাড়িতে পালিত হলো বিদ্রোহী কবির ১২৪ তম জন্মদিবস। অংশগ্রহণে নিজস্ব সাংস্কৃতিক বলয়ের একদল নজরুলপ্রেমী মানুষ ও পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক নিতাইমোহন চ্যাটার্জী, কৌশিক গাঙ্গুলি, কবি কৃষ্ণা দাস, আলপনা চ্যাটার্জ্জী, শ্রীকুমার চ্যাটার্জ্জী সহ আরও অনেকে।
ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় সূচনা গাঙ্গুলির উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে। তাকে সহযোগিতা করেন আলপনা চ্যাটার্জ্জী, দর্পণা গাঙ্গুলি এবং গীটারে শ্রীকুমার চ্যাটার্জ্জী। এছাড়াও নজরুলের ভিন্নধর্মী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সূচনা। সঙ্গে ছিল পাড়ার কচিকাচাদের কবিতা পাঠ। ফলে সামগ্রিক অনুষ্ঠানটি আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। মুগ্ধ হন উপস্থিত শ্রোতারা।
আবেগ মাখা কণ্ঠে ড. প্রদীপ গাঙ্গুলির ভাষ্য পাঠ সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত বনাম নজরুল গীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন দর্পণা গাঙ্গুলি। তার বক্তব্যে উঠে আসে এক অজানা ইতিহাস। ‘সামগ্রিক নজরুল’ প্রসঙ্গে আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে কবি কৃষ্ণা দাস স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। এটাও ছিল ভিন্নধর্মী ভাবনা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি নিতাইমোহন বাবু বললেন – রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সহ যেকোনো মনীষীর জন্মদিন পালনে বাহ্যিক আড়ম্বরের পরিবর্তে দরকার আন্তরিকতা ও আবেগ। আজকের অনুষ্ঠানে সেই আবেগ পুরোপুরি মাত্রায় বজায় ছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি গাঙ্গুলি বাড়ির সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সূচনা বললেন – আমাদের সাধ থাকলেও সামর্থ্য কম। আড়ম্বর নয় আন্তরিকতা হয়ে ওঠে আমাদের মূলমন্ত্র। তাকেই পাথেয় করে ঘরোয়া পরিবেশে নজরুল জয়ন্তী পালন করলাম। এবারও পাশে পেয়েছি বেশ কয়েকজন গুণী মানুষকে। সব মিলিয়ে এক আনন্দমুখর সন্ধ্যা আমরা উপভোগ করলাম।