সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিআর পি এফ জওয়ান নিখিল ধাড়া ছত্তিশগড়ে কর্মরত ছিলেন। ওড়িশার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দিন করমন্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। অবশেষে গত সোমবার সি আর পিএফ এর হস্তক্ষেপে তাঁর দেহ মেলে এবং মঙ্গলবার তাঁর দেহ কফিনবন্দী হয়ে ফেরে কুশমুড়ি গ্রামে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি বিহারের রাজগীরে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন নিখিল। গত ২ জুন প্রশিক্ষণ শেষে রাজগীর থেকে খড়্গপুরে এসে নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্যেশ্যে করমন্ডল এক্সপ্রেস ধরেন তিনি। তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে আর যোগযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। অবশেষে নিখিলের খোঁজে গত সোমবার বালেশ্বরে যান গ্রামের একদল বাসিন্দা। সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখিলের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও তার ভিতরে থাকা পরিচয়পত্র মিললেও নিখিলের খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সি আর পিএফ এর তরফেও শুরু হয় সন্ধান। শেষে ওড়িশার একটি হাসপাতালে নিখিলের মৃতদেহের খোঁজ মেলে।
এরপরই তাঁর দেহ গ্রামের বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় সি আর পিএফ। মঙ্গলবার দুপুরে সি আর পি এফ এর গাড়িতে করে জওয়ানরা কুশমুড়ি গ্রামে নিহত জওয়ানের দেহ নিয়ে পৌঁছায়। কুশমুড়ি গ্রামেত অদূরেই গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। চোখের জলে গ্রামের ছেলেকে শেষ বিদায় জানায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ।