সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- সামনেই রথযাত্রা, তাই আজকে আমি আপনাদের ভগবান শ্রী জগন্নাথের একটি অলৌকিক লীলা কাহিনীর কথা শোনাবো। আপনারা সবাই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন, কিন্তু সেটা তো শুধুমাত্রই কল্পনা তার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।বন্ধুরা আপনারা কি জানেন বাস্তবে পুরীর মন্দিরেও এরকমই একটি আশ্চর্য প্রদীপ আছে। চলুন জগন্নাথের লীলা কথা বলতে গিয়ে আজকে আমরা পুরীর মন্দিরের সেই আশ্চর্য প্রদীপের কথা জেনে নিই।
জগন্নাথ পুরী মন্দিরের চূড়ায় যে প্রদীপটি প্রতি একাদশী তিথিতে প্রজ্বলন করা হয় তা সত্যিই একটি আশ্চর্য প্রদীপ। ভক্তগণ বিশ্বাস করেন যে, এই প্রদীপ আসলে ভগবান শ্রী জগন্নাথেরই একটি লীলা। কারণ ২১৪ ফুট ৮ ইঞ্চি উঁচু পুরী মন্দিরের সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থিত এই প্রদীপের অলৌকিক ক্ষমতা এতটাই যে প্রবাহিত তীব্র বাতাসের বেগে কখনোই এই প্রদীপ নেভে না এমনকি পুরীর মন্দিরের পাশে অবস্থিত সমুদ্র বা ঝোড়ো দমকা হওয়ায় প্রচন্ড বাতাস বইলেও সেই অলৌকিক মহাপ্রদীপ কখনোই নিভে যায় না। পুরীর মন্দিরের চূড়ায় নীল চক্রের নীচে প্রজ্বলিত থাকা এই প্রদীপ ভগবান শ্রী জগন্নাথের অলৌকিক লীলার সাক্ষী স্বরূপ সব সময় প্রজ্জ্বলিত থাকে। প্রায় এক ফুট লম্বা ও এক ফুট চওড়া এবং এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে প্রায় আড়াই কেজি ঘি লাগে, আশ্চর্যের বিষয় তাই না? কিন্তু আরো আশ্চর্যের বিষয় এই যে আমরা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা তো কম বেশি সবাই জানি কিন্তু পুরীর আশ্চর্য প্রদীপের কথা কজন জানতাম? চলুন রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথের এই অলৌকিক লীলা কীর্তন করি আমরা আর বলি জয় জগন্নাথ কি জয়।