শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:– মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান বিশ্ব বিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ করে নিয়ে তাক লাগিয়ে দিল বাঁকুড়ার মেয়ে অরুন্ধতি সুরাল। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এডুকেশন এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট নিয়ে মাস্টার্স করার সুযোগ পেয়েছে সে।
বাবা গৌতম বুদ্ধ সুরাল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক এবং মা মৌসুমী সুরাল গৃহবধূ। এল কেজি থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত বাঁকুড়ার ডিএভি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অরুন্ধতি। মৌসুমীদেবীর মতে যথেষ্ট স্বাধীনতার সাথে নিজের শিক্ষাজীবনের রাস্তা নিজেই তৈরি করেছেন অরুন্ধতী এবং ছোট থেকে সে উচ্চগঠনমূলক চিন্তাধারায় অভ্যস্ত। সময়কে যথাযথ সন্মান দেওয়া এবং আউট অফ দ্যা বক্স চিন্তাভাবনা করতে ভালোবাসেন অরুন্ধতী। এমনকি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে ছোট থেকেই যথেষ্ট সচেতন মেধাবী এই ছাত্রী। কোনওদিন একটা চকলেটের প্য়াকেটও রাস্তায় ফেলেনি সে। রাস্তাঘাটে ডাস্টবিন না পেলে বাড়ি ফিরে ডাস্টবিনে ফেলেছে। এমনটাই জানালেন অরুন্ধুতীর মা মৌসুমীদেবী। পাশাপাশি স্বল্পতা বা যেটুকু প্রয়োজন সেইটুকু নিয়েই বেঁচে থাকার দর্শন “মিনিমালিজমে” বিশ্বাসী অরুন্ধতী। তাই পোশাক পরিচ্ছদ নিয়েও সেরকম শৌখিনতা তার। তবে ভবিষ্যতে পেশা হিসেবে কোন পথে যাবেন সেটা এখনও ঠিক করেননি অরুন্ধুতী। তিনি জানান আপাতত সব পথেরই দরজা খোলা রাখতে চান তিনি। ভবিষ্য়তে শিক্ষা ক্ষেত্র বা প্রশাসনিক ক্ষেত্র বা যে ক্ষেত্রটি তাকে আকর্ষণ করবে সেটিই বেছে নেবেন তিনি।
বাঁকুড়া থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ভিনদেশে পড়াশুনার জন্য পাড়ি দেওয়ার আগে একটু নার্ভাসনেস কাজ করছে বলেও জানালেন আত্মবিশ্বাসী অরুন্ধুতী। তবে ভবিষ্যতে যারা দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে চাইছেন তাদের জন্য অরুন্ধুতীর বার্তা মেধা ও আত্ববিশ্বাসের সামনে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। লক্ষ্য স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অরুন্ধতীর মতে সে যখন এই সুযোগ করে নিতে পেরেছে অন্যরাও পারবে।