eaibanglai
Homeএই বাংলায়জল চুরি রুখতে কাঁকসায় নজরদারি চালাচ্ছে 'সজল নারী বাহিনী'

জল চুরি রুখতে কাঁকসায় নজরদারি চালাচ্ছে ‘সজল নারী বাহিনী’

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– জলই জীবন। জল ছাড়া জীবন স্তব্ধ। কিন্তু দিন দিন বিশ্ব তথা দেশ জুড়ে দেখা দিচ্ছে জলের সমস্যা। পশ্চিম বর্ধমান জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। জল জীবন মিশন দপ্তর সূত্রের খবর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জলের স্তর অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও অন্ডাল পাণ্ডবেশ্বর, জামুরিয়া সহ বিস্তীর্ণ খনি এলাকাতেও জল সংকট দেখা দিচ্ছে। আর সেই জল সংকট মেটাচ্ছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার ভূগর্ভস্থ জল। তবে কাঁকসার ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও অনেকটাই নেমে গিয়েছে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ভূগর্ভস্থ জল তুলে কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া ও ব্যাপক পরিমাণে জল অপচয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে বিক্রি ও পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধিও জলস্তর নেমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ফলে আগামী দিনে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও খনি এলাকার পাশাপাশি কাঁকসাতেও জলের সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কায় জল জীবন মিশন দপ্তরের। সেই আশঙ্কার মধ্যেই জল জীবন মিশন দপ্তরের অধীনে জলচুরি রুখতে সজল নারী বাহিনী গঠন হচ্ছে জেলায় জেলায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসাজুড়েও এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। এই বাহিনীর কাজ মূলত এলাকায় এলাকায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিভিন্ন এলাকায় চলছে সজল নারী বাহিনীকে নিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ। কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতেও চলছে সজল নারী বাহিনীর প্রশিক্ষন। অন্যদিকে কোথাও জল চুরি হলে সেই অভিযোগও সজল নারী বাহিনী সরাসরি জল জীবন মিশন দপ্তরে জানাবে। তারপরেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জল জীবন মিশন দপ্তর। এর ফলে জল অপচয় কমবে বলে আশাবাদী দপ্তর।

জল জীবন মিশন দপ্তরের কাঁকসা ব্লকের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ভানু কর্মকার জানান সজল নারী বাহিনীকে প্রাথমিক পর্যায়ে নামানো হয়েছে জল চুরি রুখতে। আর তাতে ভালোই সারা পাওয়া যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments