নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– ধর্মের নামে রাস্তায় ষাঁড় ছেড়ে দেওয়া আমাদের দেশে নতুন কিছু ঘটনা নয়। তবে অনেক সময়ই সেই সব ষাঁড়েদের তাণ্ডবের শিকার হন এলাকাবাসী। কিন্তু দুর্গাপুরে উঠে এল একেবারে অন্যরকম ছবি। এলাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অসুস্থ ষাঁড়ের চিকিৎসার ব্যবসা করলেন স্থানীয়রা। ঘটনা শহরের ৫৪ফুট এলাকার।
জানা গেছে ৫৪ফুটের পদ্মপুকুর এলাকায় মিশকালো বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড় বছর পাঁচ ছয় ধরেই ঘোরাঘুরি করছে। ক্রমে স্থানীয়দের সঙ্গে রীতিমতো সখ্যতা তৈরি হয়ে যায় ষাঁড়টি। এলাকাবাসীরাই নিয়মিত সবজি, ভাতের ফ্যান সহ খাবারের ব্যবস্থা করত তার। কিন্তু সম্প্রতি সংক্রমণের জেরে ষাড়টির শরীরে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসলেও কীভাবে ষাড়টির শুশ্রুষা বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না স্থানীয়রা। এরই মধ্যে বাইরের অন্য একটি ষাঁড়ের আক্রমণে এই ক্ষত গুরুতর রূপ নেয়। এরপরই শহরের পশুপ্রেমী তথা সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত নীলাঞ্জন পোদ্দারের দ্বারস্থ হন এলাকাবাসী। বিষয়টি জানতে পেরে অসুস্থ ষাঁড়টিকে উদ্ধার করার উদ্যোগ নেন নীলাঞ্জনবাবু। গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে গতকাল পদ্মপুকুর এলাকার স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য ও এলাকাবাসীর সাহায্য়ে ষাঁড়টিকে ট্রাংকুলাইজার দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে উদ্ধার করা হয় এবং কাদা রোডের একটি শেল্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পশু চিকিৎসক জানিয়েছে ষাঁড়টির সংক্রমণ ইতিমধ্যে ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের আশা তাদের প্রিয় ষাঁড়বাবাজীবন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার তাদের কাছে ফিরে আসবে।