সূচনা গাঙ্গুলি,দমদমঃ- কেরালার জেভিয়ার জন ও বাংলার তন্ময়, কুশল, সোমনাথ, দেবাশিস, টুবাই, দেবজিৎ, সমীর, সুরজিৎ, শান্তনুরা সব অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। ভাষা বা ধর্ম কখনোই ওদের বন্ধুত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ওদের নেশা। এই সেদিনও ওরা দমদমের শরৎ বসু রোডের শরৎ কলোনির অসহায় শিশুদের পাশে ছিল। ওদের স্বপ্ন ছিল এইসব শিশুদের পাশে থাকা। কিন্তু কে জানত এক দুর্ঘটনা ওদের কাছ থেকে বহুদূরে নিয়ে চলে যাবে জেভিয়ারকে!
বছর চল্লিশের সদা হাস্যময় তরতাজা যুবক জেভিয়ার এক পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গত ৯ ই জুন সবার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যায়। খ্রিষ্টান জেভিয়ারদের সমাজে শ্রাদ্ধাদির বিষয়টি না থাকলেও ওর আত্মার শান্তি কামনার জন্য বন্ধুরা সামান্য ভোজনের আয়োজন করে। ওরা বেছে নেয় জেভিয়ারের প্রিয় আদরবাসার শিশুদের। আদরবাসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জয়তী ইন্দ্র, অর্পিতা ইন্দ্র, শিখা গুহ, বুলু কুন্ডু প্রমুখ।বছর চল্লিশের সদা হাস্যময় তরতাজা যুবক জেভিয়ার এক পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গত ৯ ই জুন সবার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যায়। খ্রিষ্টান জেভিয়ারদের সমাজে শ্রাদ্ধাদির বিষয়টি না থাকলেও ওর আত্মার শান্তি কামনার জন্য বন্ধুরা সামান্য ভোজনের আয়োজন করে। ওরা বেছে নেয় জেভিয়ারের প্রিয় আদরবাসার শিশুদের।
সোমরাজ, উর্মি, প্রিয়া, ঝর্ণা, শুভ, দেব, শঙ্কর, সুজয়, পূজা, তন্ময়, মমতা, শিবম, শুভদ্বীপ, আরশি, শৈলেন, দেবাশিষ বিশ্বজিতদের জন্য ওরা আয়োজন করেছিল প্রিয় বন্ধুর পচ্ছন্দ মত যথেষ্ট পরিমাণ খাবার। সঙ্গে উপহার। কারণ এখানে এলেই জেভিয়ার শিশুদের জন্য এইসব জিনিসই আনত। কিন্তু শিশুগুলো জানতনা ওদের প্রিয় জেভিয়ার কাকু আর কোনোদিনই এখানে আসবেনা।
আদরবাসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জয়তী ইন্দ্র, অর্পিতা ইন্দ্র, শিখা গুহ, বুলু কুন্ডু প্রমুখ।
জয়তী দেবী বললেন – দীর্ঘদিন ধরে এখানে আসতে আসতে কখন যে জেভিয়ার আমার সন্তান হয়ে উঠেছিল বুঝতে পারিনি। সুযোগ পেলেই ওরা এখানে ছুটে আসত। আমার মেয়ে অর্পিতার বাচ্চাদের পাশে সাহায্যের ডালি নিয়ে হাজির হতো। আর জেভিয়ার এখানে কোনোদিনই আসবেনা, মা বলে ডাকবেনা – ভাবতেই পারছিনা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন জয়তী দেবী।