eaibanglai
Homeএই বাংলায়জ্বলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে লাফিয়ে বাঁচলেন বাঁকুড়ার তিন তরুণী

জ্বলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে লাফিয়ে বাঁচলেন বাঁকুড়ার তিন তরুণী

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও তাজা। এরই মধ্যে ফের ঘটে গেল বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার পথে পগিদিপল্লী-বোম্বাইপল্লী স্টেশনের কাছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আচমকাই বিধ্বংসী আগুনের কবলে পড়ে। জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিটের জেরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে যায় এবং চারটি কামরা (এস-৪, এস-৫, এস-৬, এস-৭ ) পুড়ে ছাই হয়ে যায় । যদিও দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেল কর্তৃপক্ষ এবং ট্রেনের সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনতে সক্ষম হয়।

অন্যদিকে জ্বলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণ ফিরে পেলেন বাঁকুড়ার তিন মেয়ে শ্রেয়সী দে মোদক, দেবত্রী প্রামানিক, বর্ষালী দাস। এরা সকলেই হায়দ্রাবাদ সংলগ্ন মাল্লারেড্ডি সুপার হসপিটালের নার্সিংয়ের ছাত্রী। যাচ্ছিলেন হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে। ওই তিন ছাত্রী জানান সকাল ১১ টা নাগাদ হঠাৎ ট্রেনের কামরায় আগুন লাগে এবং কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কামরা। মুহুর্তের মধ্যে কামরার ভেতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং সকলেই দরজা দিয়ে ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করতে থাকেন। ফলে দরজার সামনে ভিড় জমে যায়। দরজা দিয়ে বেরতে গিয়েও বিফল হন তারা। এরপরই উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে এমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করে ট্রেনের জানলা থেকে লাফিয়ে একপ্রকার জ্বলন্ত ট্রেন থেকে নামতে সক্ষম হন তিন ছাত্রী। তবে ট্রেন থেকে নেমে একপ্রকার দিশাহীন হয়েই পায়ে আঘাত নিয়ে লাইন বরাবর চলতে থাকেন তারা। পরে অবশ্য উদ্ধার কার্য শুরু হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পান।

প্রসঙ্গত গত ২ জুন ওডিশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে চলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির উপর উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। লাইচ্যুত হয় ট্রেনের একাধিক কামরা। আর এই লাইচ্যুত কামরা অন্য লাইনের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনায় ২৯৩ জনের মৃত্যু হয় এবং প্রচুর মানুষের অঙ্গহানি হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments