জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- বিশ্বকাপ ফুটবল বা সীমিত ওভার ক্রিকেট, আইপিএল বা টি-২০, যাইহোক না কেন তাদের সৌজন্যে বেটিং শব্দটা আজ ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। অনেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে। স্থানীয় সীমিত ওভারের ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে আর এক বেটিং এর সাক্ষী থাকল গুসকরা শহরবাসী। তবে এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যটা ছিল মহৎ। যার জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে শহরবাসী সবাই খুশি।
জানা যাচ্ছে কিছুদিন আগে গুসকরা পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আলুটিয়া ফুটবল ময়দানে ‘গুসকরা সুপার কিং’ পরিচালিত একটা সীমিত ওভারের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। সেখানে ‘সুপার কিং’- এর নিজস্ব টিম ‘ভারত মাতা সংঘ’ অংশগ্রহণ করে। বলা হয় টিমের পক্ষ থেকে যতগুলি ওভার বাউন্ডারি বা ছক্কা (৬) মারা হবে ঠিক ততগুলি চারাগাছ মাঠের চারপাশে রোপণ করা হবে। মোট ৬৭ টি ছক্কা মারা হয় এবং প্রতিশ্রুতি মত ৭০ টি চারাগাছ রোপণ করা হয়।
বৃক্ষরোপণ উৎসব উপলক্ষ্যে ১৪ ই জুলাই ১৪ নং ওয়ার্ডে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বনদপ্তরের আধিকারিক প্রণব কুমার দাস, কাউন্সিলর সাধনা কোনার ও সুমন্ত ঘোষ, জয়হিন্দ বাহিনীর গুসকরা শহর সভাপতি উৎপল লাহা, শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা এবং গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সদস্যরা।
উপস্থিত অতিথি সহ ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফুটবল ময়দানের চারপাশে শাল, সেগুন সোনাঝুড়ি, শিরিষ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ৭০ টি চারাগাছ রোপণ কর হয়। আগামী দিনে শহরের অন্যান্য প্রান্তেও বৃক্ষরোপণের অঙ্গীকার করা হয়।
গুসকরা সুপার কিং এর প্রাণপুরুষ অরুণ সাউ বললেন – বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য শহরকে সবুজে ঢেকে দেওয়া।
সংশ্লিষ্ট ক্লাবের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রণব বাবু বললেন – সত্যিই খুব ভাল উদ্যোগ। আমরা চাই শহরের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসুক। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে কুশল বাবু বললেন – বিশ্বউষ্ণায়নের দাপটে বর্তমান বছরে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে সতর্ক নাহলে আগামী বছর তাপমাত্রা এমন এক জায়গায় পৌঁছে যাবে যেটা জীবজগতের অস্তিত্বের পক্ষে বিপদ সংকেত হিসাবে দেখা দেবে। একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ করা। এই পরিস্থিতিতে ‘সুপার কিং’- এর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আশাকরি শহরের সবুজায়নের লক্ষ্যে অন্যান্যরাও এগিয়ে আসবে।