সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়া জেলার খাতরা মহকুমার অন্তর্গত মুকুটমণিপুর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত অম্বিকানগর রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ। একসময় বিশাল দালান বাড়ি অবস্থান করলেও কালের প্রকোপে আজ লাল ইটের পাঁজটুকুই অবশিষ্ট রয়ে গেছে। আর সঙ্গে রয়ে গেছে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজবাড়ির ইতিহাস।
রাজা রাইচরণের দেশপ্রেম ছিল দৃষ্টান্তমূলক। একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল এই অম্বিকানগর রাজবাড়ি। প্রথম সারির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আসতেন এই রাজবাড়িতে এবং বৈঠক করতেন। ইংরেজদের রোষানলে পড়ে রাজত্ব হারায় এই রাজবাড়ি এবং পরবর্তীকালে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আস্তে আস্তে ধ্বসে পড়ে অট্টালিকা।
ইংরেজদের রোশনালে পড়ে জমিদারি চলে গেলেও পরবর্তীকালে ভারত সরকারের ভাতা পায়নি এই অম্বিকানগর রাজবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুর পরিবার তারপর বিহারের দারভাঙ্গা, অম্বিকানগরের রাজবাড়ির স্বত্ব ঘুরেছে হাতে হাতে। কিন্তু যোগ্য সম্মান কিংবা যোগ্য আলোকপাত কোনোটাই পায়নি অম্বিকানগর রাজবাড়ি।
তবে অবশেষে প্রশাসন এবং সরকারের চোখে পড়েছে এই রাজবাড়ি। সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে রাজবাড়ির কিছু অংশে। বাঁকুড়া জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে এবং খাতরা মহকুমা শাসকের সহযোগিতায় চলছে সংস্কার কাজ। সংস্কারের পাশপাশি রাজবাড়ি চত্বরে বসতে চলেছে বিপ্লবী রাজা রাইচরণের একটি মূর্তি।
রাজবংশের এক সদস্য গৌরী শংকর নারায়ণ দেও জানান, “একের পর এক অট্টালিকার দেওয়াল ধ্বসে পড়তে দেখেছি চোখের সামনে। অবশেষে প্রশাসনের নজরে আসায় রাজবাড়ি নতুন রূপ পেতে চলেছে, তার জন্য আমরা গর্বিত এবং খুশি”