eaibanglai
Homeএই বাংলায়ভাঙা গড়ার খেলা/৩…..সকালে 'হ্যাঁ', রাতেই 'না'ঃ ধন্দে কি আড্ডাই ?

ভাঙা গড়ার খেলা/৩…..সকালে ‘হ্যাঁ’, রাতেই ‘না’ঃ ধন্দে কি আড্ডাই ?

অমল মাজি, দুর্গাপুরঃ- সিটিসেন্টার দখল মুক্ত হওয়ার আগেই ‘সাঙ্গ’ হল জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান। এডিডিএ’র প্রশাসনিক মহলে ফের একবার দখলদারি সরাতে তোড়জোড় শুরু হতেই কোনও এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় পুলিশ জানিয়ে দিল-শুক্রবার ফোর্স পাওয়া যাবে না। অতয়েব,সব স্তব্ধ হয়ে গেল মাঝপথেই।

মজার কথা হল, জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান নির্ধারিত দিনে শুরুই করা যায়নি স্রেফ পুলিশ না মেলায়। তখন পুলিশ মহরমকে ঢাল করেছিল। আর এবার বলল, দুর্গাপুর ইস্পাতের নাকি আলাদা অভিযানে অতিরিক্ত বাহিনীর দরকার পড়বে শুক্রবার। তাই, এডিডিএ (আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ) র জন্য ফোর্সের যোগান দিতে পারবে না পুলিশ।

দুদিনের জবরদখল হঠানোর অভিযানে ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ করতে গিয়ে সিটি সেন্টারের সব রাস্তাতে আধখ্যাচরা কাজ করে সরে পড়ে এডিডিএ। এ নিয়ে শহরে, এমনকি এডিডিএ’র অন্দরেও বিস্তর হাসাহাসি শুরু হয়। যাদের যাদের দোকান ঘর এডিডিএ’র বুলডোজার পিষ্ঠ হয় তারা রাখঢাক না করেই বলতে থাকেন, “নিজের ঘরের গোপাল ঠাকুরকে বাঁচাতে যদু মধুর দোকান ভেঙে পেশী ফোলাচ্ছে বাহুবলি এডিডিএ। তাই, সিটি ক্লাব মোড় থেকে কিছুতেই আর এগোতে পারছে না তাদের বুলডোজার। যত নাচন কোদন শুধু আম জনতার ওপর। ফুটপাতের হোটেলে, ঘুমটিতে।”

এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “কারো কোন পক্ষপাত নয়। যেখানে যা যা জবরদখল আছে, সবই ভাঙতে হবে। ছাড়া হবে না কাউকেই। তা সে যেই হোক।” এডিডিএ সূত্রে জানা যায়, সিটিসেন্টারের একটি ক্লাব ঘর বাঁচাতে না কি সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান, সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আদা জল খেয়ে লেগে পড়েছেন। অভিযোগ, তাই কখনো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে উচ্ছেদের রুট তো আবার কখনো বদলে যাচ্ছে উচ্ছাদের সময়সূচী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এডিডিএ’র কর্মীদের জানানো হল, শুক্রবার ফের শুরু হবে অভিযান। কয়েক ঘণ্টা পরেই, রাত ৮ টায় সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আচমকাই জানানো হল, “অভিযান স্থগিত করা হচ্ছে।” কেন ? -তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। শুক্রবার ধন্দে থাকা কিছু কর্মচারী বলেন,’চেয়ারম্যান চাইছেন উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে লাগাতার।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments