সংবাদদাতা,আসনসোলঃ– আগামী ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যে সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। কয়েকদিন পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা আসছেন বঙ্গ সফরে। তার আগেই লোকসভা কেন্দ্রিক জেলা ও নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি।
একাধিক জেলার সাংঘটনিক রদবদলের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে’কে সরিয়ে তার জায়গায় নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাপ্পাদিত্য চ্যাটার্জীকে। রবিবার দলীয় তরফ থেকে সভাপতির নাম ঘোষণার পরই বিজেপির আসানসোল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাপ্পাদিত্য চ্যাটার্জীকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। অন্যদিকে সভাপতি পদ পাবার পর বাপ্পাদিত্য জানান, দিলীপ দের মতো বর্ষীয়ান নেতৃত্বর সাথে তিনি দলের কাজ করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং আগামী দিনে তার দেখানো পথেই তিনি হাঁটবেন। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসী বাপ্পাদিত্য দাবি করেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ২ লক্ষর বেশী ভোটে আসানসোল লোকসভায় পদ্মফুল ফুটবে যা নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য ছোট থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য চ্যাটার্জী এক সময় বজরং দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে বিজেপির সংস্পর্শে আসেন। এতোদিন দলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র ও অন্যতম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। সামলেছেন দলের হিরাপুর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি, তিন বার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সম্পাদক, দলের রাজ্য কমিটির তিন বারের মুখপাত্রের দায়িত্বও।
অন্যদিকে এই রদবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপি। তাই ৪০-এর বাপ্পাদিত্যকে বেছে নেওয়া হল। আবর রাজনৈতিক মহলের আরেক অংশের মতে সাম্প্রতিক অতীতে প্রকাশ্যেই দলের নিচুতলার কর্মী, নেতাদের একাংশ জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেতাদের পাশে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সমাজমাধ্যমেও সম্প্রতি দলের নেতা, কর্মীদের একাংশকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তাই দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই সভাপতি বদল করা হল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এক্ষেত্রে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছেন অনেকেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অগ্নিমিত্রা বলেন, “বাপ্পাদিত্য দলের অনেক দিনের কর্মী। তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যও। শিল্পাঞ্চলকে হাতের তালুর মতো চেনেন। দলের গোষ্ঠীবাজির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারবেন উনি।”