নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: কিলোমিটার পিছু বাড়তি ভাড়ার আবদার ড্রাইভারদের। দুর্গাপুরে। সেই আবদারের ধাক্কা সটান পৌঁছল দক্ষিণবঙ্গের চার জেলার গৃহস্থের হেঁসেলে। এইরকম একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিবহন ঠায় থমকে রইল ৪৮ ঘণ্টা, আর নীরবে তাকিয়ে দেখলো মহকুমা প্রশাসন।
শহরের কোকেওভেন থানা এলাকায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডেন গ্যাসের বটলিং প্লান্ট। এই প্লান্ট থেকেই দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা – পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের একাংশে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তাই, সেখানেই আচমকা এই ধর্মঘটে জনদুর্ভোগের শিকার এই চার জেলায় শুক্রবার প্রকট হয়। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজেই সামলাচ্ছে। ওরা এখনও আমাদের হস্তক্ষেপ চায়নি। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।”
কিন্তূ, কিসের দারুন এই আচমকা সংকট? সংস্থার সাথে যুক্ত পরিবহন কোম্পানিগুলির মালিকেরা এদিন জানান, “এই ধর্মঘটে আমরা নেই। এটা ড্রাইভারদের ব্যাপার। আমরা এটা সমর্থন করিনি।” জানা যায়, ড্রাইভাররা দাবি করেন – ভিন জেলায় গ্যাস পরিবহনে যুক্ত গাড়িগুলি দুর্গাপুর ব্যারাজ দিয়ে যাতায়াত করলেও রানীগঞ্জ হয়ে ঘুরে যাওয়ার অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে, যা ইন্দেন কর্তৃপক্ষ মানতে চায়নি। সেই নিয়েই বচসার সূত্রপাত। ড্রাইভাররা কিলোমিটার পিছু ৪.৫০ টাকা ভাতা এমনিতেই পেয়ে থাকেন, যা এক্ষুনি ৪.৭৫ টাকা করতে হবে বলে তাদের দাবি। কোকেওভেন থানার ওসি বিজন সমাদ্দার বলেন, “আজকে একটা আলোচনায় সমস্যা অনেকটাই মিটেছে।”