নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বর্ষায় সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বন্ধ থাকে নদী থেকে বালি তোলা। ১ জুলাই থেকে রাজ্যের নদ নদীগুলি থেকে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে বালি লুঠ চলছে অজয় নদ থেকে। আর অবৈধ সেতু পার করে ট্রাকে, ডাম্পারে সেই বালি অজয়ের ওপার বীরভূম থেকে চলে আসছে এপারের দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইপুর বালি ঘাটে। অভিযোগ দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালকে অবাধে এই বালি পাচার চললেও হুঁশ নেই প্রশাসনের।
প্রসঙ্গত এই অবৈধ বালি পাচারের জন্য অজয়ের উপর মাটি, পাথর, স্ল্যাগ, মোরাম দিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা একটি অবৈধ সেতু তৈরি করে ফেলেছে পাচারকারীরা। দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের গোগলা পঞ্চায়েতের মাধাইপুর ঘাট থেকে ওপারে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পলাশডাঙা পর্যন্ত বিস্তৃত এই অবৈধ সেতু। স্থানীয়দের মতে প্রায় মাস তিনেক আগে রাতারাতি অজয়ের বুক জুড়ে তৈরি হয় এই অবৈধ সেতু। যাতে বীরভূমের বালিঘাট থেকে বালি তুলে তা সহজেই সেতু পার করে পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে দিয়ে পাচার করা যয়া।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা জিতেন চ্যাটার্জি। জিতেনবাবু এদিন বলেন এভাবে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে বাঁধ বা সেতু তৈরি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। নদীর উপর যে সেতু বা ব্রিজ তৈরি হয় তার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে এবং সরকার সব দিক দেখেশুনে সেই ব্রিজ বা সেতু তৈরি করে। নদীবক্ষে অন্য কেউ সেতু তৈরি করতে পারে না। এখানে অজয়ের গতিপথ রুদ্ধ করে যেভাবে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তাতে দুপারের চাষের জমি ভেসে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। অন্যদিকে বেশী বৃষ্টি হলে প্লাবনে এলাকা ভেসে যাওয়ার আশঙ্কার করছেন অজয়ের দুপারের বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখে জেলা প্রশাসনের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে এদিন দাবি করেন তিনি। তার দাবি জেলা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হলে স্থানীয়দের নিয়ে বৃহত্তরে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।