সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:– কংগ্রেসের প্রতীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়ে উপ প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ফের নিজের পুরাণো দলেই ফিরলেন বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর সংসদ থেকে জয়ী সন্তু চন্দ। বাঁকুড়া শহরের রক্ষাকালী তলায় জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা লক্ষীকান্ত বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, ২১ আসন বিশিষ্ট কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার তৃণমূল ১০, বিজেপি ৬, সিপিআইএম ২, নির্দল ২ ও কংগ্রেস ১ টি আসনে জয়লাভ করে। ওই পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর ১ নম্বর সংসদ থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হন সন্তু চন্দ। পরে গত ১৬ জুলাই জেলা তৃণমূল ভবনে দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহমহাপাত্রের হাত ধরে শাসক দলে যোগ দেন। এদিকে শুক্রবার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল ব্লক সভাপতি অংশুমান ব্যানার্জীর প্যানেল মানতে রাজী হননি নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা। ফলে ভোটাভুটি অনিবার্য হয়ে পড়ে। এবং সেই ভোটাভুটিতে তৃণমূলের সুষমা গোস্বামী প্রধান ও কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী সন্তু চন্দ উপপ্রধান নির্বাচিত হন। উপপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েই আর দেরী করেননি সন্তুবাবু, সোজা চলে যান জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এবং সেখানেই জেলা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা লক্ষীকান্ত বিশ্বাসের হাত ধরে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। পুরনো দলে যোগ দিয়ে সন্তুবাবু এদিন বলেন, “চাপে পড়ে’ তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। এলাকার মানুষকে পাশে পেয়ে ফের কংগ্রেসে ফিরে এলাম।”
অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত এপ্রসঙ্গে জানান , এই ধরণের কোনো খবর তার কাছে নেই। তবে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্য স্বেচ্ছায় তাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সত্যিই তিনি কংগ্রেসে ফিরে গেলে তৃণমূলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সন্তু চন্দের হাত ধরে দীর্ঘকাল পর বাঁকুড়া জেলায় এক ও একমাত্র উপপ্রধান পদ উপহার পেল কংগ্রেস।