সংগীতা চৌধুরী(চ্যাটার্জী)ঃ– একবার একজন ভক্ত স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ কে প্রশ্ন করেছিলেন যে, “ ভক্তিমূলক গান শুনলে, বিশেষত ইষ্টের রূপ থাকলে আমার চোখ দিয়ে জল পড়ে অবিরত। এমনকি জাতীয় সঙ্গীত শুনলেও। নিজেকে সামলাতে পারি না।”-এই আবেগপ্রবণতাই ছিলো তার সমস্যা। তিনি এই সমস্যার সমাধান কোথায় জিঞ্জেস করেছিলেন মহারাজকে?
মহারাজ অবশ্য অন্যান্য বারের মতো সবটাকেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে বলেছিলেন তবে তিনিও বলেছিলেন যে আবেগ ভালো হলেও আবেগ আর যুক্তির মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে মহারাজ বলেছিলেন, “ইষ্টরূপ দেখে, ভজন শুনলে আপনার অশ্রু আসে। এ তো ভাল কথা। জাতীয় সঙ্গীত শুনলেও। ঠিক আছে। চোখে জল আসলে সমস্যা কি? আপনি কি একটু বেশি আবেগপ্রবণ? এটাই কি সমস্যা? যুক্তি ও ভাব, এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য দরকার। না হয় আবেগকে অনার্স পেপার করে যুক্তিকে পাস পেপার হিসেবে রাখুন। ভারসাম্য না থাকলে আপনার অসুবিধে হবে এ জগতে। তখন emotions হয়ে যাবে emotional nonsense. লোকেরা আপনাকে ঠকাতে পারে। চিন্তা করবেন না। এমন ভারসাম্য রাখা বা আবেগ ও বুদ্ধির সমন্বয় করার শক্তি আপনার আছে। রান্না করার সময় স্ত্রী, স্বামী-সন্তানের প্রতি ভালবাসা নিয়ে রাঁধেন। কিন্তু যুক্তির ব্যবহারও করেন। আগে তেল দেবেন না হলুদ, নুন কতটা দেবেন, ক্যপ্সিকামের সাথে আলু দেবেন কিনা, এসব হিসেব করেন। এখন নিজের এই শক্তি-ভারসাম্য জীবনের অন্য ক্ষেত্রগুলিতেও ব্যবহার করুন।”