সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- বছর পঞ্চাশ বছরের এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লালগঞ্জ গ্রামে। মৃত মহিলার নাম শ্যামলী কর্মকার। অন্যদিরে খুনের ঘটনার পর থেকে মৃতার মেয়ে বৈশাখী কর্মকার নিখোঁজ বলে দাবি শ্যামলীদেবীর পরিবারের লোকজনরে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। মঙ্গলবার সাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি বাড়িটি সিল করে দেয়। পরে পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এদিন দ্বিতীয় দফায় ফের ঘটনাস্থলে যায় ঘটনা সম্পর্কে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনা স্থলের ছবি তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে এদিন ঘটনা স্থলের ৫০০মিটার দূরে একটি থলি উদ্ধার হয়। ওই থলির ভিতরে একটি মোবাইল ফোন, রেনকোর্ট ও বেশ কিছু সামগ্রী ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। জানা গেছে চালের টালি ভেঙ্গে বাড়ির ভিতরে ঢুকে শ্যামলী কর্মকারকে খুন করা হয়।
মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি শ্যামলীদেবীর ছোট মেয়ের স্বামী তার শাশুড়িকে খুন করেছে। বছর খানেক আগেও নাকি শ্যামলীদেবীর উপর তার ছোট জামাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তখন মারাত্মক জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যান। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হলো না বলে দাবি পরিবারের।