সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– যাদবপুর ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় গ্রেফতার আসানসোলের বাসিন্দা ছাত্র মহম্মদ আসিফ আজমল। আসানসোল রেলপার এলাকার বাসিন্দা আসিফ যাদবপুরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। যদিও ধৃত ছাত্রের মায়ের দাবি তার ছেলে নির্দোষ এবং খুবই নিরীহ, ভুলেও কোনওদিন কারও ক্ষতি চায়নি।
অন্যদিকে ধৃতের বাবা জানান, গতকাল রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। খাওয়াদাওয়া সেরে বিশ্রাম নিচ্ছে বলে জানিয়েছিল সে। পরে জানতে পারেন আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়ে আসিফ বাড়িতে কিছুই বলেনি বলে দাবি তার বাবার। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না, বোনকে জানিয়েছিল। মেয়ে বলল, আসিফের শরীর ভাল নেই, ওকে বাড়িতে ডাক। আমরা আসিফকে বললাম মায়ের শরীর ভাল নেই, বাড়ি আয়। মা-কে দেখতে বাড়ি আসে। রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমায়। আমার বলেছিলাম ২ দিন পরে যা, কিন্তু কথা শোনেনি, পরেরদিনই চলে গেল পড়াশোনা আছে বলে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,ধৃত ছাত্র মহম্মদ আসিফ আজমল গরীব পরিবারের সন্তান। তারা তিন ভাই বোন। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আসিফের বাবা খুবই কষ্ট করে ৩ ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছেন। আর কয়েকদিন পরেই যাদবপুরে ক্যাম্পাসিং হওয়ার কথা ছিল। তাই তার আগে এই ঘটনায়, যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত অবস্থা পরিবারের। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, কোথায় বা কার কাছে যাবেন, তা নিয়ে দিশাহারা আসিফের পরিবার।
প্রসঙ্গত যাদবপুর ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় বুধবার সকালে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই ছাত্রদের জেরা করা শুরু হয়। জেরায় অসঙ্গি পেয়ে অবশেষে বুধবার ওই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদবপুর কাণ্ডে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯জন। এদের মধ্যে ৩ জন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। পড়াশুনোর পাট চুকিয়েও দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রদের হোস্টেলেই থাকছিলেন তারা। কীভাবে প্রাক্তনীরা বিশ্ববিদ্যালের ক্যাম্পাসে ছাত্র আবাসনে থাকছিল তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি এত বড় হোস্টেলে ও হোস্টেল চত্বরে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কর্তৃপক্ষে বিরুদ্ধে ।