শুভ্রাচল চৌধুরী,বাঁকুড়া:– যাদবপুর কাণ্ড যেন টনক নড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে। এই যাদবপুর কাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে না ঘটে তার জন্য শুরু হলো তদারকির ব্যবস্থা। যাতে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এদিন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি অ্যান্টি রেগিং কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসে। কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডুর নেতৃত্বে এদিনের অ্যান্টি রাগিং কমিটির বৈঠকটি হয়।
উল্লেখ্য যাদবপুর কাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতর। তাই আগে ভাগেই কি সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি? উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাকে এড়ানো গেলেও যেতে পারে।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানান, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে তাদের একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় অ্যান্টি র্যাগিং ডে পালন করা নিয়ে। সেই অনুযায়ী একটা কমিটি গঠন করে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রেগিংয়ের জন্য কি ধরনের আইন বা নির্দেশিকা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তাদের অবগত করা, র্যাগিং আইনের বিভিন্ন ধারাগুলি তাদেরকে বোঝানো এসব করা চলছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান যাদবপুর কাণ্ডের পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সত্যিই নেওয়া হচ্ছে এবং যেসব পড়ুয়া উত্তীর্ণ তাদেরকে হোস্টেল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সবে মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন যাদবপুরের মর্মান্তিক ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেছে।