সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:– বাড়ির আঁশ বটি দিয়ে পুত্রবধূর গলার নলি কেটে খুন কারার অভিযোগ উঠল শ্বশুর শাশুড়ি বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাট করতে দহে লুকিয়ে রাখা হয় প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কে। রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমে দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত শ্বশুর শাশুড়িকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মৃত মহিলার স্বামীকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে নিঁখোজ হয়ে যান ঢেকিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোনালিসা ঘটক। তার কোনও খোঁজখবর না পেয়ে মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক শুক্রবার শালতোড়া থানার দ্বারস্থ হন। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পাশাপাশি ওই দিন থেকেই তার বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ বলে জানান কাজু। তদন্তে নেমে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সুজিত ঘটক ও ইতু ঘটককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন,”জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ধৃতেরা তাদের পুত্র বধূকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন।” জেরায় পুলিশ জানতে পারে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির আঁশ বটি দিয়ে বৌমার গলার নলি কেটে খুন করেন কাজুর মা ইতুদেবী। তার পর দেহ প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে রেখে স্বামীকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দেন। শনিবার তাদের নিয়ে ঢেকিয়া গ্রামে যায় পুলিশ এবং প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত একটি গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্ক থেকে মোনালিসার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মোনালিসা বছর ছয়েক আগে ঢেকিয়ার পার্শ্ববর্তী গ্রাম বিষজোড়ের এক যুবককে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। তাদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। পরে পাশের গ্রাম ঢেকিয়ার কাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ও তাকে বিয়ে করেন। মোনালিসার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মোনালিসার সঙ্গে ছেলের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি কাজুর বাবা এবং মা। অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক ভাবে ধারণা পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই খুন।