শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ- চাঁদ ছুঁল ভারতবর্ষ! চাঁদ ছুঁল বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের ডান্না গ্রামের সন্তান কৃশানু নন্দী। চন্দ্রপৃষ্ঠে যে ল্যান্ড রোভারটি চলবে সেই ল্যান্ড রোভারটি নিয়ন্ত্রণ করতে যে টিম স্থাপন করা হয়েছে তার অন্যতম বাঁকুড়ার কৃশানু নন্দী। ল্যান্ডিং এর পর আরও কাজ বাড়বে বাঁকুড়ার ছেলের। পৃথিবীতে বসে চাঁদের পৃষ্ঠে গাড়ি চালানোর সুযোগ কি সবাই পায় নাকি!
২৩ শে আগস্ট, এই দিনটি ভারত এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যে ছটা বেজে চার মিনিট নাগাদ যখন ভারত চাঁদে চাঁদ মামাকে ছুঁতে সক্ষম হল তখন বাঁকুড়ার কৃষানু নন্দী ব্যস্ত ইসরোর বিভিন্ন জটিল কাজে। ইসরোর সম্প্রচারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কৃশানু নন্দীকে উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে থাকতে। যদিও পাত্রসায়েরের ডান্না গ্রামের বাড়িতে কৃশানুর বাবা এবং মা সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রায় সাত দিন হল ব্যাঙ্গালোরে গেছেন ডাক্তার দেখাতে। বাড়িতে রয়েছেন কৃশানুর কাকীমা এবং কৃষানুর জেঠুর ছেলে। চন্দ্রযানের কর্মযজ্ঞে ভীষণ ব্যস্ততার কারণে সংযোগ স্থাপন পর্যন্ত করা যাচ্ছে না কৃষাণু নন্দীর সঙ্গে।
কৃশানু নন্দী মাধ্যমিক পাশ করেন পাত্রসায়ের বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তারপর তিনি বি টেক করতে যান কলকাতায় এবং এম টেক করেন – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সব থেকে উল্লেখ যোগ্য যে এম টেক শেষ হবার আগেই চাকরি পেয়ে যান তিনি ইসরোতে।
এদিন কোনো রকমের বক্তব্য দিতে চাননি কৃশানু নন্দীর কাকিমা এবং দাদা। তবে চন্দ্র যান সাফল্যে যথেষ্ট খুশি তারা, যেন ঘাড় থেকে একটা চিন্তার বোঝা নেমে গেছে।সূত্র মারফত জানা গেছে যে শেষ ৪ মাস আগে বাড়িতে এসেছিল কৃশানু। ইসরো থেকে ছুটি পেলেই বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাঁকুড়ার গ্রামের বাড়ি তাঁকে যেন ডাকে।
আপাতত, কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে ইসরো এবং কৃশানু নন্দী সেটা জানতে মুখিয়ে আছেন বাঁকুড়াবাসী।