শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- বাঁকুড়ার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মনোজিৎ মণ্ডল ওরফে বাঁকুড়ার ‘টোনি স্টার্ক’ বিগত দু বছরে তাঁর ফ্ল্যাটের প্রায় ৩৫০০০ টাকা ইলেকট্রিক বিল সাশ্রয় করেছেন। তাও আবার এসি, ইনডাকশন,কিচেন চিমনি এবং আলো,পাখা চালানোর পর। আবার অপর দিকে যখন বাজারে লিটার প্রতি পেট্রোল ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি ছাপিয়ে তখন তিনি সামান্য ৩০ টাকার বিনিময়ে ১০০ কিলোমিটার করে চার চাকা নিয়ে দিব্যি বাঁকুড়া শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুনে ঈর্ষণীয় লাগছো তো! ভাবছেন তো আপনি যখন সারা মাস পরিশ্রম করে আয় করে সেই আয়ের একটি টাকাও সাশ্রয় বা সঞ্চয় করতে হিমসিম খাচ্ছেন তখন মনোজিৎবাবু কীভাবে মাসে ভালো অঙ্কের টাকা সাশ্রয় করছেন? আসলে সৌর শক্তিকে ব্যাবহার করেই কিস্তিমাত করেছেন বাঁকুড়ার এই ব্যাবসায়ী। যা রীতিমতো মিরাকেল বলে মনে হচ্ছে সবার কাছে।
আসলে নিজের ঘরের ছাদ থেকে শুরু করে গাড়ি ছাদ- সব জায়গায় সোলার প্যানেল বসিয়েই কেল্লা ফতে করেছেন বাঁকুড়ার এই ব্যাবসায়ী মনোজিৎবাবুর মতে এখনও পর্যন্ত সৌর চেতনা তৈরি হয়নি দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে। পরিবেশ বান্ধব সৌর শক্তি ব্যাবহার করে একদিকে যেমন বেশ কিছু অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব অন্যদিকে তেমন পরিবেশেরও কোনও ক্ষতি বা দূষণ হয় না। পাশাপাশি মনোজিৎবাবু জানালেন শীত ও গ্রীষ্ম কালের পাশাপাশি বর্ষা কালেও ভালো কার্যক্ষম থাকে সোলার প্যানেলগুলি। এমনকি তাঁর মতে গ্রীষ্ম কালের চেয়ে বর্ষা কালে বেশীভাল কার্যকর সৌর শক্তি।
বাড়ির পাশাপাশি একটি ছোট ন্যানো গাড়ির ইঞ্জিন সরিয়ে গাড়িটিকে সম্পূর্ণ সোলার চালিত করে সারা ফেলে দিয়েছেন মনোজিৎবাবু।
প্রসঙ্গত জীবাশ্ম জ্বালানির মূল্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকবে দ্রুত গতিতে। এমনকি একদিন তা ফুরিয়েও যাবে। সেই দুর্দিন আসার আগেই যদি সকলে সচেতন হয়ে মনোজিৎ মণ্ডলের মতো সৌর শক্তিকে আলিঙ্গন করে নেয় তাহলে হয়তো আগামী প্রজন্মের জন্যে আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব হবে।